দুর্গাপুর অ্যাম্বুশ, নেত্রকোণা
নেত্রকোনা জেলার একটি সীমান্তবর্তী থানার নাম দুর্গাপুর। এই থানার পাশেই ভারতের মেঘালয় রাজ্য। দুর্গাপুর থানা সদরে পাকবাহিনীর নিয়মিত অবস্থান ছিল। পাকবাহিনীর সদস্যরা সীমান্ত অঞ্চলের আশেপাশের এলাকাসমূহে নিয়মিত টহল দিত।
মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর নিয়মিত এই টহল দলের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে ২৩ শে সেপ্টেম্বর দুর্গাপুর থানার পার্শ্ববর্তী এলাকার রাস্তার মোড়ে পাকবাহিনীর টহল দলের উপর আক্রমণ করে। পাকসেনারাও পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ঘন্টা খানেল গুলিবর্ষণের মধ্যে মুক্তিবাহিনীর দু’জন সদস্য শাহাদাত বরণ করলে মুক্তিবাহিনী পিছু হটে নিরাপদ অবস্থানে ফিরে আসে।
এই যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধারা হলেন, আবদুর রফিক, তোফাজ্জাল হোসেন চুন্নু, আলতাব হোসেন, রিয়াজউদ্দিন, মতিউর রহমান, রফিক উদ্দিন মিঞা, সন্তোষ (শহীদ), কুদ্দুছ মিয়া (শহীদ) আব্দুল আজিজ, হাবিবুর রহমান, এবাদুল ইসলাম, আব্দুল হাকিম, আব্দুল খালেক প্রমুখ।
[৫৯৫] ফিরোজ খায়রুদ্দিন
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ সপ্তম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত