তাল মোহাম্মদের হাট অপারেশন, নোয়াখালী
নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জের তাল মোহাম্মদের হাটে এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এখানে একটা মিলিশিয়া ও রাজাকার ক্যাম্প ছিল। এই দিন রাত তিনটা হতে যুদ্ধ চলে। এই যুদ্ধের পরিকল্পনা করেন সদর কমান্ডার অহিদুর রহমান অদু। পরিকল্পনাটি ১৩ নভেম্বর মাহমুদুর রহমান বেলায়েত এবং ডেপুটি কমান্ডার মমিনউল্লাকা দেওয়া হয়। পরিকল্পনাটিতে ‘ইনগ্রা রাইফেল’ এর জায়গায় লেখা ছিল ‘জনগন’ মাহমুদুর রহমান বেলায়েত এর কারণ জানতে চাইলে বলা হয় যে, পূর্বেই রাজাকারদের সঙ্গে তার কথা হয়েছে তারা তাকে বলেছে তারা আত্মসমর্পণ করবে, তারপর আশেপাশের লোকজন জয় বাংলা শ্লোগান দিতে দিতে এগিয়ে আসবে। যা হোক, পরিকল্পনাওনুসারে দুটো দিকে ভাগ হয়ে তাঁরা তাল মোহাম্মদের হাটের দিকে যায়। একটি অহিদুর রহমান অদুর নেতৃত্বে অন্যটি ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে। ওবায়দুল কাদের পূর্বে ট্রুপস উইথড্রো করলে অহিদুর রহমান অদু ট্রুপসকে নির্দেশ দিতে গেলে রাজাকারদের গুলি এসে লাগে ও তিনি সেখানে শহীদ হোন। যদিও পরিকল্পনা অনুযায়ী তাঁর মাটিতে শুইয়ে গ্রুপকে নির্দেশ দেয়ার কথা ছিল। কিন্ত তিনি তা না করে দাঁড়িয়ে গ্রুপকে নির্দেশ দিতে গেলে রাজাকাররা তাঁকে দেখে ফেলে। ৩০/৪০ জন রাজাকার ও মিলিশিয়া সেখানে ছিল। সকাল দশটা এই যুদ্ধ চলে। ১০/১২ জন মিলিশিয়া ও রাজাকার এখানে নিহত হয়। পড়ে রাত দুইটার দিকে মুক্তিযোদ্ধারা লাশ উদ্ধার করে তাকিয়ার হাট তাকিয়াবাড়িতে দাফন করে।
[৪৪] জোবাইদা নাসরীন
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ সপ্তম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত