তারাবো অপারেশন (কাঁচপুর ফেরিঘাট), নারায়নগঞ্জ
অক্টোবর মাসে প্রথম সপ্তাহে নেভাল কমান্ডো মতিউর রহমানের নেতৃত্বে ৫/৬ জনের একটি দল কমান্ডো আব্দুর রহিম, জসীম উদ্দিন, বশীর আহম্মেদ, আবু মুসা চৌধুরী, আবু তাহের, মনোজ দত্ত অপারেশন স্থলে নারায়ণগঞ্জর তারাবো ঘাটের জেটি ধ্বংসের জন্যে উপস্থিত হন। একদিন সকালে নৌ-কমান্ডো আবু তাহের ও মতিউর রহমান ফেরিঘাট রেকি করেন। রাতের বেলা কমান্ডো দলটি প্রায় এক মেইল দূর থেকে নদীতে নেমে স্রোতের অনুকূলে ঘাটের উদ্দেশ্যে সাঁতরাতে থাকেন। ঘাটে পাক হানাদার বাহিনীরা উজ্জ্বল সার্চ লাইট জ্বলে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখে। কমান্ডোরা কখনো পানির নিচ দিয়ে, কখনো কচুরিপানার আড়ালে ভেসে জেটির সামনে যান। জেটিতে মাইন লাগিয়ে ওরা অন্যত্র সরে যান। লিপমেট মাইনগুলো চার্জ করার ৪০/৪৫ মিনিট পর বিস্ফোরিত হলে দুপাড়ের জেটি পানির গভীরে তলিয়ে যায়। ফলে পাকসেনাদের কুমিল্লা ও চিটাগাং এর সঙ্গে যাতায়াত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। নেভাল কমান্ডোদের কভার দেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার থানা কমান্ডার মো. ইসমাইল, মজিদ, মজিবর রহমান সাউদ, মোমতাজউদ্দীন ভুঁইয়া। এই অপারেশনের পরদিন পাকবাহিনীরা দুই তীরের প্রায় ২০০ নিরীহ বাঙালিকে নির্বিচারে হত্যা করে।
[১১০] রীতা ভৌমিক
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ সপ্তম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত