টেবলাই যুদ্ধ, সুনামগঞ্জ
১৯৭১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর। সীমান্তবর্তী [সুনামগঞ্জ] ছাতক থানাধীন টেবলাই গ্রামে জেলা সাব-সেক্টর ভুক্ত মুক্তি বাহিনীর একটি অবস্থান। এক প্লাটুন দুরন্ত মুক্তিযোদ্ধা শক্রু নিধনের লক্ষ্যে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। প্লাটুন অধিনায়ক এম, এ, হাসিব। এমনি অবস্থায় ভোর সাড়ে চারটার দিকে দোয়ারা বাজার থেকে অন্তত ৫০ জন পশ্চিমা হায়েনার একটি দল পায়ে হেঁটে ও নৌকায় এসে পূর্ব পশ্চিম ও দক্ষিণ দিক থেকে একযোগে প্রচণ্ড আক্রমণ চালিয়ে বসে। অত্যান্ত হালকা অস্ত্র নিয়েই এ পার্টির সূর্য সন্তানেরা মর্টারের গোলার সামনে দাঁড়িয়ে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যুদ্ধের কৌশল পাল্টে সদর দফতর বাঁশতলায় পিছিয়ে যেতে হয়। সেখান থেকে নতুন করে মুক্তিযোদ্ধারা পালটা হামলা চালায়। ফলে পাক দস্যুরা পালিয়ে যায়। অনুমান সাড়ে চার ঘন্টার এ প্রতিরোধ লড়াইয়ে অন্তত ৩ জন পাক হায়েনা নিহত হয়। একজন মুক্তিযোদ্ধাও প্রিয় স্বদেশের বুকে শেষ শয্যা গ্রহণ করেন। বর্ণিত অপারেশনগুলি সেলা সাব সেক্টরের অত্যান্ত উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম ছিল। এসব অপারেশনে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্যে সরকার আবদুল হালিম, আবদুল মজিদ ও ইদ্রিছ আলী নামে তিনজন মুক্তিযোদ্ধাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করেন।
[৭৬] মোঃ আলী ইউনুছ
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ সপ্তম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত