জামশেদ, মেজর জেনারেল (৯৩ বিগ্রেড, পিএ-৮৮২)
৩৬ ও ৩৯ এ্যাঢক ডিভিশনাল প্রধান।
আব্দুল কাদির খান, বিগ্রেডিয়ার (৯৩ বিগ্রেদ, পিএ-১৬৭৪)
সুলতান আহম্মেদ, লে. কর্নেল (৩১ বেলুচ, ৩৩ পাঞ্জাব, বিএ-৫১৭৪)
মোহাম্মদ সারওয়ার, মেজর (৩৩ পাঞ্জাব, পিএ-৭২৩১)
মোহাম্মদ শরীফ আরিয়ান, মেজর (৩৩ পাঞ্জাব, পিএ-৭২৩১)
মোহাম্মদ শরীফ আরিয়ান,মেজর (৩৩ পাঞ্জাব, পিএসএস-৬১১০)
আইয়ুব শাহ মেজর (৯৭ বিগ্রেড, পিটিসি-৩০০৭)
ময়মনসিংহ ।
অপরাধঃ ৩৩ পাঞ্জাব, ৩১ বেলুচ, মর্টার ইনফ্যান্ট্রি, ৭০ ও ৭১ রেঞ্জারের সমন্বয়ে গঠিত ৯৩ বিগ্রেড ময়মনসিংহের দায়িত্ব নিয়োজিত ছিল। ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, মধুপুর, কালিকৈর, শেরপুর, জামালপুর প্রভৃতি অঞ্চলের গণহত্যা, নির্যাতন ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধসমূহ তাদের নির্দেশে পরিচালিত হয়। বিগ্রেডিয়ার কাদির কালিয়াকৈর থেকে শুরু করে বরইতলা পরজন্ত সকল হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্ব দেয়। বিগ্রেডিয়ার কাদির ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কাম্পে বহু নারীকে আটকে রেখে দিনের পর দিন নির্যাতন চালাত। ম আমীর আহম্মেদ চৌধুরী কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কাম্পে বন্দি থাকা অবস্থায় বহু নারীর আর্তচিৎকার শুনেছেন। জামালপুর ও ময়মনসিংহ এলাকায় মেজর জেনারেল জামশেদের নির্দেশে ৯৩ বিগ্রেড কমান্ডার কাদির বহু হত্যাকাণ্ড ঘটায়। লে. কর্নেল সুলতান ’৭১-এর শেষ দিকে জামালপুর ও শেরপুরের হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্বে দিত। মেজর আইয়ুব ছিল রাজাকার কমান্ডার। নাকলী, কমালপুর চৌক ও বারোমারীরা নিকট সংঘটিত সকল গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য সে দায়ী।
সাক্ষীঃ আমীর আহম্মেদ চৌধুরী।
মেজর জেনারেল জামশেদ, বিগ্রেডিয়ার আব্দুল কাদির খান এবং তাদের অধীনস্থ অন্যান্য সকল পাকিস্তানী অফিসারকে গণহত্যা যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করা যায়।
[১৪] ডা. এম. এ. হাসান
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত