জামালগঞ্জ রেলস্টেশনের আক্রমণ, জয়পুরহাট
জামালগঞ্জ রেলস্টেশনটি জয়পুরহাট ও আক্কেল্পুরের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। এলাকার বিভিন্ন পাকিস্তানী কাম্পে প্রশাসনিক কার্যদি সম্পন্ন করার জন্য পাকিস্তান সামরিক বাহিনি জামালগঞ্জ রেলস্টেশনটি ব্যবহার করতো। এটি পাকিস্তানী বাহিনীর জন্য লাইফ লাইন হিসেবে ব্যবহৃত হতো। জামালগঞ্জ রেলস্টেশন আক্রমণ পরিচালিত হয়েছিল সম্ভবত ১৯৭১ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসের কোনো এক সময়ে। আক্রমণ পরিচালনা করা হয়েছিল রেলস্টেশনের উত্তর দিক হতে। রেলস্টেশনের অবস্থান, শত্রুর জনবল ও বিভিন্ন পজিশন বিবেচনা করে প্রথমে স্টেশনের দক্ষিনে অবস্থিত রেলওয়ে কালভার্টে বিস্ফোরণ ঘটানোর মাধ্যমেই কর্তব্যরত পাক্সেনা ও রাজাকারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা ও তারপর স্টেশনের উত্তর দিক হতে মূল আক্রমণ পরিচালনা করা পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী মুক্তিবাহিনির দলটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। একটি অংশ স্টেশনের অদূরে দক্ষিণ পাশের ব্রিজটি বিস্ফোরকের মাদ্ধমে উড়িয়ে দেয়। ফলে বিস্ফোরণের মাদ্ধমে রাজাকার ও পাকিস্তানি বাহিনিকে বিশৃঙ্খল করে দেয়া হয়। এর ফলে মুক্তিবাহিনির দল আক্রমণ পরিচালনা করে প্রহরী নিরস্ত্র করতঃ প্লাটফর্ম দখল করে নেয় এবং সরবারহের বড় একটা অংশ, ত্বরিত ধ্বংস করে দ্রুত পশ্চাদপসারণ করে। এই যুদ্ধে অধিনায়ক দেলোয়ার আহত হয় এবং একজন বিহারী রাজাকার নিহত হয়।
জালালপুর মুক্ত করার অভিযান
জালালপুর গ্রামটি সিলেট সদর থানায় অবস্থিত। এ এলাকাটি মুক্তিবাহিনীর কমান্ডার সুবল চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে গণবাহিনীর একটি কোম্পানি অপারেশন পরিচালনা করে ১০ এ এলাকাটি মুক্ত করে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
[৫৫] নিবেদিতা দত্ত
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত