ছাতিয়ানের অ্যাম্বুশ, মেহেরপুর
গাংনী থানার ছাতিয়ান গ্রামের রইছউদ্দীন কামার নিজে এবং তাঁর জ্ঞাতিগোষ্ঠি ভাইয়েরা সবাই ছিল অত্যন্ত দুর্ধর্ষ প্রকৃতির। তার দলের কেউ কেউ ডাকাতি করতো। মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই তাই দেশত্যাগী শরণার্থীদের সর্বস্ব লুঠ করে নেয়। গ্রামের কেউ নিষেধ করতে সাহসী হয় না। জোড়পুকুরের আওয়ামী লীগ নেতা। আব্দুর রহমান ভারত থেকে এসে রইচ কামারকে খবর দেন দেখার করার জন্য। তখন সে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণের ইচ্ছা ব্যক্ত করে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা তাঁকে হাতে পেলেই শাস্তি দেবে। এমতাবস্থায় কাজীপুরের লতিফ কমান্ডারশ কেউ কেউ তাঁকে এমন কিছু করতে পরামর্শ দেয়, যা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে প্রশংসিত হবে। জুন মাসের ১৩ তারিখে উপযুক্ত সুযোগ পেয়ে যায় রইছ কামার। গাংনী থানার ওসি আব্দুস সাত্তার ৭ সদস্যের পুলিশ দল নিয়ে ছাতিয়ান এলাকায় টহলে এলে রইছ কামারের বাহিনী অতর্কিত আক্রমণ চালায়। সেপাই ফয়েজউদ্দীন (সি-৪৯) ও সেপাই শফিকুজ্জামান (সি-৯৪) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। মৃতদেহ, অস্ত্রশস্ত্র অবশিষ্ট পুলিশদলকে জীবিত আটক করে রইছ কামারের দুর্ধর্ষবাহিনী শিকারপুর এ্যাকশন ক্যাম্পে নিয়মিত বাহিনীর সদস্যদের কাছে জমা দিয়ে আসে। সেদিন যাঁদের আটক করা হয়ঃ ১. এস আই আব্দুস সাত্তার ওসি গাংনী থানা ২. এ এসআই আবুল হাশেম” ৩. সেপাই ইমানউদ্দীন (সি-১০৪)” ৪. সেপাইল নূরুল ইসলাম (সি-৩৪৭)” ৫. সেপাই আব্দুল খালেক (সি-২৫৮)” রইছ কামারের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধাদের দখলে আসেঃ ক. ৫টি এমকে রাইফেল ও খ. ১টি ৯০ সিসি মোটর সাইকেল (কুষ্টিয়া-এ-৫৭)
[১০৩] রফিকুর রশীদ
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত