চোরখালি অ্যাম্বুশ, নড়াইল
অক্টোবর মাসের শেষদিকে বড়দিয়ার সন্নিকটে চোরখালিতে কালিয়া হতে ২ খানা লঞ্চে রাজাকার ও পাকিস্তানী রেঞ্জার বাহিনী আক্রমণ করে। ঐ সময় ভারত থেকে ট্রেনিং নিয়ে আসা মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দলকে মুন্সি মুহঃ লাল মিয়া (পরে খাশিয়ালের ইউ, পি, চেয়ারম্যান আরও পরে উপজেলা চেয়ারম্যান) ও রাজ্জাক খাঁ (গ্রামঃ মঙ্গল্পুর) রুটি ও গুড় ভাগাভাগি করে দিতে ব্যস্ত থাকে। এমন সময় হানাদারদের গোলার শবে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অংশ চোরখালির নদীচরের মাঠে অবস্থান নেয়। রাজাকার বাহিনী লঞ্চে উঠে কালিয়ায় পালিয়ে প্রাণ বাঁচায়। রাজাকার কমান্ডারের গায়ে গুলির আঘাত লাগে। ঐ যুদ্ধে একজন মুক্তিযোদ্ধা নিহত হয়। উনিহত মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি ছিল মোল্লারহাট উপজেলার গাড়ফা গ্রামে। ঐ যুদ্ধের গোলাগুলির শব্দে আবুল কালামের বাহিনী ছুটে গেলে রাঝাকারেরা ফেরা পথে পাটনায় বাধা পায় কিন্ত তারা দ্রুত লঞ্চ চালিয়ে পালিয়ে যেতে সমর্থ হয়। চন্দ্রপুর গ্রামে বর্ষাকালে রাজাকারের একটি দল চড়াও হয়। ঐ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা জীন্দার আলী খাঁ দুজন রাজাকারকে হত্যা করেন। রাজাকাররা প্রাণ ভয়ে পালিয়ে যায়।
[৫৮৭] মহসিন হোসাইন
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত