চরভদ্রাসন থানা আক্রমণ, ফরিদপুর
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন থানা হাজিগঞ্জ অবস্থিত ছিল। পুলিশ, রাজাকার, মুজাহিদ সদস্যদের মোট সংখ্যা ছিল ৬০/৭০ জন। চরভদ্রাসন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জালালউদ্দিন আহমদের গ্রুপটি থানা দখলের পরিকল্পনা করে। এ ব্যাপারে পদ্মার ওপারের ঢাকা দোহার থানার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু সাইদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জালালউদ্দিন ও আবু সাইদের যৌথ নেতৃত্বে দোহার ও চরভদ্রাসনের ৭০/৭৫ জন মুক্তিযোদ্ধা এ অপারেশনে অংশগ্রহণ করে। সন্ধ্যা ৭টায় তিন পাশ থেকে মুক্তিযোদ্ধারা একটি এলএমজি, স্টেন ও রাইফেল হাতে আক্রমণ করে। বস্তা দিয়ে নির্মিত কড়া বেষ্টনীর মধ্য থেকে ওরা পাল্টা গুলি করতে থাকে। রাতভর গুলিবিনিময় চলে। ভোরের দিকে মুক্তিযোদ্ধাদের নিক্ষিপ্ত গুলি আর গ্রেনেডের মুখে ওরা ‘সারেন্ডার, সারেন্ডার’ বলে চিৎকার করে ওঠে। ওদের একাংশ ভোগে যায়। সকালে আত্নসমর্পণ করিয়ে ওদের শপথ পড়িয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। প্রায় ৩০টি রাইফেল ও ব্যাপক গোলাবারুদ মুক্তিযোদ্ধাদের হস্তগত হয়। এ ঘটনার প্রিক্রিয়া ঐদিন পাকসেনা ও মিলিশিয়া একত্রে সর্দারের ডাঙ্গায় এসে বাড়িঘর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে।
[১৫] আবু সাইদ খান
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত