গুনাগারী ক্যাম্প আক্রমণ, বাশখালি, চট্টগ্রাম
বিএলএফর সদস্যরা বাশখালী পৌঁছার পর নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় এলাকার অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে রাজাকার-আল্বদরদের শক্তিশালী ঘাঁটি গুনাগারী ক্যাম্প আক্রমণের পরিকল্পনা নেয়া হয়। গভীর রাতে ঘেরাও করা হয় ক্যাম্প। ভোরে একজন ছোট বালক্কে দিয়ে রাজাকার ক্যাম্পে আত্নসমর্পণের আহব্বান জানিয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়; কিন্ত আত্নসমর্পণের পরিবর্তে রাজাকাররা পাল্টা গুলি চালাতে শুরু করে। ওয়াপদা অফিসেরর এই ক্যাম্পে রাজাকাররা ভেতরে এম্বুশ করে মুক্তিযোদ্ধাদের দিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। প্রায় ৪ ঘণ্টা বন্দুকযুদ্ধের পর রাজাকাররা অশ্ত্র ফেলে হাত উঁচিয়ে আত্নসমর্পণ করে। এই অভিযানে বিএলএফ, মুক্তিফৌজ এবং স্থানীয়ভাবে গড়ে ওঠা সমগুলো মুক্তিযোদ্ধা গ্রুপ অংশ নেয়। এদিকে হরিণা ক্যাম্পে অবস্থাঙ্কারী মোক্তার আহমদ মুক্তিবাহিনীর ট্রেনিং শেষে বাশখালি, সাতকানিয়া, আনোয়ারা ও কুতুবদিয়ার ফ্রিডম ফাইটার (এফ.এফ) কমান্ডিংয়ের দায়িত্ব নিয়ে ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ প্রবেশ করেন। এ সময় তার সাথে আরো ছিলেন কালীপুরের ফয়েজ আহমদ, অসীৎ, সুনীল, জলদীর সঞ্জীব কুমার কারণ, বৈলছড়ির জয়হরি সিকদার, কদম্রসুলের জাফর আহমদ, সিরাজ, রায়ছটা গ্রামের সোলায়মান, সাতকানিয়ার পরিমল দত্ত, পুকুরিয়ার সুধাংশু দাশ, সাধনপুরের সুখেন্দ্র বিকাশ ধর প্রমুখ। এফ. এফ বাহিনীর নেতৃত্বে নিয়ে কমান্ডার মোক্তার আহমদ বাশখালী পৌঁছেন ১৮ ডিসেম্বর। কিন্ত ইতোমধ্যে দেশেল মানুষ পেয়ে গেছে লাল সূর্য খচিত স্বাধীনতার বিজয় পতাকা।
[৫৯৪] নূর নবী চৌধুরী
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত