খিলা বাজারের যুদ্ধ, চাঁদপুর
১৯৭১ সাল, ২১ আগস্ট রবিবার খুব ভোরে প্রায় এক শত পাকবাহিনী ও রাজাকার পায়ে হেঁটে চাদপুরের খিলা রেল স্টেশন থেকে এসে প্রথম বাজারে অগ্নিসংযোগ করে। সঙ্গে সঙ্গে ৩ মর্টারের প্রচণ্ড শেলিং। এই খবরে নিরীহ জনগণ বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে থাকে। তাদের আগমন টের পেয়ে মুক্তিযোদ্ধা জনাব জহিরুল হক পাঠানের বাহিনী এগিয়ে আসে। মুক্তিযোদ্ধারা গ্রামের ধানক্ষেত পাট ক্ষেতের ভিতর দিয়ে পানি ভেঙে একেবারে খিলাবাজার সংলগ্ন রাস্তায় এ্যাম্বুশ করে। সেখানে পাকবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই হয়। ২ ঘন্টা স্থায়ী এই লড়াইয়ে পাকবাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে এদিকে সেদিকে পালিয়ে যায়। পালানোর সময় জনগণ ২ জন রাজাকারকে ধরে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে সোপর্দ করে। সেকান্দার নামক একজন কুখ্যাত রাজাকারকে মাথা কেটে জনগণ সুচি পাড়া হাইস্কুলের টিনের চালের উপর ঝুলিয়ে রাখে। হাজার হাজার জনরা সেদিন এই দৃশ্য দেখে। পরে ৭০/৮০ জন পাকসেনা হেভি মেশিনগান ও মর্টার নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর প্রচণ্ড আক্রমণ চালালে মুক্তিযোদ্ধারা পিছনে চলে আসে। প্রহান কারণ মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে প্রচুর গোলাবারুদ ছিলনা। সেদিন ১০/১২ জন পাকসেনা ও ৬/৭ জন রাজাকার মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে নিহত হয়।
[২৪] ডা. মোঃ দেলোয়ার হোসেন খান
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত