খোর্দ্দ যুদ্ধ, সাতক্ষীরা
৮ নং সেক্টরের প্রথমে কমান্ডার আব্দুল গফফারের নেতৃত্ব আনুমানিক ত্রিশ জন মুক্তিযোদ্ধা খোর্দ্দা গ্রামে ঘাঁটি স্থাপন করে। পরে ক্যাপ্টেন শফিউল্যাহ প্রায় সত্ত্র জন মুক্তিযোদ্দা নিয়ে কপোতাক্ষ নদের উওর পাড়ে চাকলা গ্রামে এসে ঘাঁটি গাড়েন। দু’দিন পর সংবাদ পাওয়া জায় যে কলারোয়া থেকে পাকসেনারা খোর্দ্দ মুক্তিফৌজ ঘাঁটি আক্রমণ করতে রওয়ানা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে গফফার ও শফিউল্যার নেতৃত্বাধীন উভয় দল এক হয়ে ১০০ জন মুক্তিযোদ্ধা পাকসেনার আক্রমণ প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়। অল্পক্ষণের মধ্যে পাকসেনারা গুলি করতে করতে দক্ষিণ দিক থেকে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে থাকে। ৩/৪ ঘন্টা প্রচণ্ড যুদ্ধের পর পাকসেনারা পরিবেষ্টিত হওয়ার আশঙ্কায় পালি কলারোয়ায় ফিরে যায়। সেই থেকে তারা আর কোন দিন খোর্দ্দ বাজারের দিকে যায় নি। যুদ্ধ শেষ অবধি খোদ্দ মুক্তাঞ্চল হয়েই ছিল।
[১২১] শেখ আমানুল্লাহ
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত