খলিলপুরে রাজাকার ক্যাম্প আক্রমণ, ফরিদপুর
ফরিদপুর খলিলপুরে রাজাকারদের একটি ক্যাম্প ছিল। যেটা পাকসেনাদের ট্রানজিট ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহৃত হতো। পাকসেনারা দু’একদিন অন্তর এখানে আসত, খানা-পিনা ও ফুর্তি করত। রাজাকারদের সঙ্গে নিয়ে তারা হত্যা , লুটপাট ও মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজখবর নিতে বিভিন্ন গ্রামে হানা দিত। তাই এই ক্যাম্পটি ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে সবচেয়ে বড় হুমকি। মোকারেমর নেতৃত্বে ভারতে প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত ১৫/২০ জনের দলটি খলিলপুর অদূরে সুলতানপুর ক্যাম্প স্থাপন করে এবং তারা সিদ্ধান্তে উপরনীত হয় যে, এ এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের কর্মকাণ্ড জোরদার করতে হলে এ ক্যাম্পটি উঠিয়ে দিতে হবে। জুলাইয়ের ঘটনা। মোকারমের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে দু’শ গজ আগে থেকে গুলি করতে করতে অগ্রসর হয়। ওরা পাল্টা গুলি করে কিন্ত ১৫ মিনিটের মধ্যে আত্নসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। কয়েকজন পালিয়ে বাঁচে। ঐ যুদ্ধে অংশ নেন মাসুদুল হক, সৈয়দ হাফিজুল হক, হায়দার আলী, সৈয়দ শামসুল হক (ফারুক), জুলমত খান, আবদুল করিম মোল্লা, খলিলুর রহমান, সৈয়দ শহীদুল ইসলাম, পরেশ চন্দ্র দাস সুবল চন্দ্র ভৌমিক ও খান মাহবুব এ খুদা।
[১৫] আবু সাইদ খান
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত