কুর্ণি কালভার্ট ও শুভল্লা সেতু ধ্বংস, টাঙ্গাইল
মির্জাপুর সেতুর পর মুক্তিযোদ্ধারা একই থানাধীন কুর্ণির কালভার্ট ও শুভল্লা সেতু ধ্বংস করার পরিকল্প্না করে। প্রায় বিনা বাধায় কমান্ডার আজাদ ও বাদশাহর কোম্পানি কালভার্টটি উড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়। কমান্ডার হুমায়ূন ও কমান্ডার নায়েক আলমের কোম্পানি সন্ধ্যা ৭টায় শুভল্লা সেতুতে অতর্কিতে আক্রমণ চালায়। সেখানে তারা দীর্ঘ ২ঘন্টা প্রচণ্ড যুদ্ধ করে। শুভল্লা সেতুর মজবুত পাক বাঙ্কারে বসে হানাদারদের গুলি ছোঁড়া যত সুবিধা ছিল, মুক্তিযোদ্ধাদের ততটা ছিল না। তবুও মুক্তিযোদ্ধাদের পর্বত পরিমাণ উচু মনোবলও সাহসিকতার কাছে শেষ পর্যন্ত হানাদারদের নতি স্বীকার করতে হয়েছে। এই সেতু দখল যুদ্ধে দুজন মুক্তিযোদ্ধা গুরুত্বর আহত হয়। অপর দিকে হানাদারদের ৬ জন গ্রেনেডের আঘাতে নিহত হয়। অবশিষ্ট হানাদার ও রাজাকাররা মুক্তিবাহিনী কাছে আত্মসমর্পণ করে।
[৫৯৫] ফিরোজ খায়রুদ্দিন
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত