কুড়ালগাছী-ধান্যঘড়া যুদ্ধ, দর্শনা
কার্পাসডাঙ্গা পাক মিলিটারি ক্যাম্প থেকে ২৫ অক্টোবর সকাল ১১টার দিকে কুড়ালগাছী গ্রামে শত্রুর একটি টহল দল আসে। কুড়ালগাছী গ্রামে একটা রাজাকার ক্যাম্প ছিল। পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর টহল দল প্রাই এই গ্রামে রাজাকার সদস্যদের সাথে সমন্বয়ে আসত। মুক্তিবাহিনী সদস্যরা পাশের পাড়াসদৃশ গ্রাম ধান্যঘড়াতে টহলের জন্য অবস্থান করছিল। দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে ১৩ জন সদস্যদের মুক্তিবাহিনী দল ধান্যঘড়া গ্রামের এক বাসিন্দার আপ্যায়ণে মুগ্ধ হয়ে দুপুরের খাবার গ্রহণ করছিল। এমতাবস্থায় পাক সেনাবাহিনী তাদের ঘিরে ফেলে। খাবার ফেলে রেখে যুদ্ধে লিপ্ত হয় ওই মুক্তিবাহিনীর সদস্যরা। যুদ্ধের প্রচণ্ডতার মুকে মুক্তিবাহিনী সদস্যরা কমাণদার আঃ রহমানের নেতৃত্বে পিছু হটতে থাকে এবং এক পর্যায়ে শামসুল হক মালিথা, গ্রাম ফুলিবাড়িয়া, নামের একজন মুক্তিযোদ্ধা মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। পরে জানা যায়, ওই আপ্যায়ণকারী গ্রামবাসী ছিল একজন রাজাকার। মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার খেতে দিয়ে পাকসেনাদের খবর দিয়েছিল। পাকসেনারা শহীদ শামসুল হক মালিথার লাশ ধান্যঘড়া গ্রামের মাঠের ভেতর রেখে দিয়ে ফাঁদ পেয়ে বসেছিল প্রায় ১৫ দিন, যেন মুক্তিবাহিনী লাশ নিতে এলে গুলি করে তাদের হত্যা করা যায়। পড়ে মুক্তিযোদ্ধারা ওই আপ্যায়ণকারীকে ধরে এবং তার বাড়ি থেকে ৪টি ৩০৩ রাইফেল ও বেশ কিছু গোলাবারুদ উদ্ধার করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত