কাশীপুর পাকআর্মিদের ঘাঁটি আক্রমণ, নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জে কাশীপুর বাটায় অবস্থানরত পাকআর্মিদের ক্যাম্প আক্রমণের জন্য মাহফুজুর রহমান মাফুজের নেতৃত্বে জানে আলম, গোপীনাথ দাস, পরিমল চক্রবর্তী, দুলাল দত্ত, জাহাঙ্গীর আলম, শফিউদ্দিন, মাইজুদ্দীন, (সেনাবাহিনীর ল্যান্স নায়েক) প্রমুখ ৩ ডিসেম্বর কানাইনগর হটে নৌকাযোগে রাতে মুক্তিযোদ্ধা জানে আলমের বাড়িতে অবস্থান নেন। ভোরবেলা বাটা আক্রমণে যাবার প্রস্তুতি নেবার সময় লোক মারফত মুক্তিযোদ্ধারা খবর পান কাশীপুর বড় মসজিদে সংলগ্ন গুদারাঘাটে ৪জন পাকিস্তানী সৈনিক নৌকার মাঝিদের হাত-পা ভেঙ্গে রাইফেলের বাট দিয়ে মাটিতে ফেলে গুতচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধারা সঙ্গে সঙ্গে মসজিদের পাশে গিয়ে কয়েকজন একটি গর্তের ভেতর লুকিয়ে গর্তের মুখ ছোট ছোট গাছ দিয়ে আড়াল করেন এবং কয়েকজন আম্বুশ করে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর ওপর গুলিবর্ষণ করেন। এতে একজন পাকআর্মি মারা যায়। দু’জন আহত হয়। গোলাগুলির আওয়াজ শুনে কাশিপুর বাটা পাকআর্মিদের ঘাঁটি থেকে দলে দলে পাকসেনা বের হয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলে। মুক্তিযোদ্ধারা কাশিপুরে অবরুদ্ধ হয়ে গেলেও বুদ্ধিমত্তারা জোরে সেখান থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। মুক্তিযোদ্ধাদের ধরতে না পেরে পাকআর্মিরা কাশীপুরের বিভিন্ন অগ্নিসংযোগ করে।
[১১০] রীতা ভৌমিক
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত