কালিহাতি পাকসেনা ট্রাকে গ্রেনেড নিক্ষেপ, টাঙ্গাইল
৩০ শে জুলাই হায়দার ও বাচ্চু নামে ১৪/১৫ বছরের দুই ক্ষুদে মুক্তিযোদ্ধা টাঙ্গাইল জলেয়ার কালিহাতি থানাতে এক অভাবনীয় অ্যাম্বুশের পরিকল্পনা করে। কালিহাতি স্কুলের মাঠে ছিল রাজাকারদের ট্রেনিং ক্যাম্প। প্রতিদিন সকালে কালিহাতি থেকে শোলাকুড়া পর্যন্ত প্রতিটি পুলে রাজাকারদের পাহারা বদলী হতো। বিষয়টি বাচ্চু ও হায়দার সাত দিন ধরে পর্যবেক্ষণ করে। ৩০ শে জুলাই ভোর রাতে তারা কালিহাতি রাস্তার উপর দুটি প্রকান্ড বটগাছের উপর উঠে বসে থাকে। দুটি ট্রাকের উপর চারজন করে মোট আটজন শত্রু বসে ছিল। ট্রাক দুটি বট গাছের নিচে আসতেই দুইজনে একসাথে দুটি করে গ্রেনেড ছুড়ে মারে। মুহূর্তে ট্রাক দু’টিতে প্রচণ্ড বিস্ফোরন ঘটে। ফলে তিন রাজাকার ঘটনাস্থলে নিহত হয়। সবাই কম বেশি আহত হয়। ক্ষুদে মুক্তিযোদ্ধারা গ্রেনেড ফাটার পরপরই বটগাছ থেকে লাফিয়ে পড়ে পাকা সড়কের পূর্ব পার্শ্বে অবস্থিত জেলে ও কামার পাড়ার মধ্য দিয়ে কস্তুরী পাড়ার দিকে নিরাপদে সরে পড়ে।
[৫৯৫] ফিরোজ খায়রুদ্দিন
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত