কালিগঞ্জের যুদ্ধ
নভেম্বরের ২০ তারিখে কালিগঞ্জে পাকিস্তানীদের সঙ্গে এক সংঘর্ষ হয়। কালিগঞ্জের ওয়াপদা কলোনিতে পাকসেনাদের একটি কোম্পানি অবস্থান করছিল। এছাড়া ছিল পশ্চিমা রেঞ্জার এবং বেশ কিছু রাজাকার। ক্যাপ্টেন নূরুল হুদা তাঁর বাহিনী নিয়ে উকসা বিওপি ক্যাম্প থেকে রওয়ানা হয়ে টার্গেটের নিকট এসে পৌঁছলেন। এ সময়ে একটি কলাম নিয়ে লেঃ আহসানউল্লাহ এবং নায়েব সুবেদার সোবহান শত্রুঘাটির কাছাকাছি এসে পড়লো। সঙ্গে ছিল মাত্র দু’টি প্লাটুন। ক্যাপ্টেন নূরুল হুদা নিজে একটি কলাম নিয়ে বসন্তপুর হয়ে কালিগঞ্জ পৌঁছলেন। নায়েক সুবেদার গফুরও একটি প্লাটুন নিয়ে অপরদিকে অবস্থা নিলেন। ভোর ৫টায় মুক্তিবাহিনী প্রথম পাকিস্তানীদের ওপর হামলা চালালো। মিত্রবাহিনীর তৃতীয় রাজপুত হিঙ্গলগঞ্জ থেকে মুক্তিবাহিনিকে আর্টিলারি সার্পোট দেয়। ভোর ৫টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলে। এই দু’ঘণ্টা স্থায়ী সংঘর্ষে কোন পক্ষরেই কোন হতাহতের সংবাদ পাওয়া যায়নি। তবে প্রায় ৪০ জন পাকসেনা মুক্তিবাহিনীর হাতে ধরা পড়ে। লে. আহসানউল্লাহ নিজেই ২২জন পাকসেনাকে বন্দী করে। নায়েক সুবেদার গফুরও ৬ জন খানসেনাকে বন্দী করেন। কালিগঞ্জ শত্রুমুক্ত হলো। পাকিস্তানীরা পালিয়ে আলীপুর নামক স্থানে অবস্থান নেয়। তারা আলীপুরের প্রতিরক্ষা ব্যূহ গড়ে তোলে।
[৩৬] ওবায়দুর রহমান মোস্তফা
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত