কালিয়া মুক্ত, নড়াইল
আনুমানিক নভেম্বর আমসের ২১ তারিখে মুক্তিবাহিনী সমস্ত গ্রুপ ও মুজিব বাহিনী যোদ্ধা কমান্ডার আবুল কালাম ও ওমর ফারুকের নেতৃত্বে কালিয়ার রাজকার, রেঞ্জার ও বাঙ্গালি পুলিশ অধ্যুষিত পাকবাহিনীর ছাউনি আক্রমণ করেন। বর্তমান কালিয়া ডাকবাংলা (উদয়শংকর বাড়ি বলে কথিত) কালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, ডাক্তারখানা ও বাজারের আরো কয়েকটি ঘরে পাকবাহিনী অবস্থান নেয়। ৪ দিন যুদ্ধের পরে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে কালিয়ার পতন ঘটে। কয়েক শত রাজাকার, বাঙালি পুলিশ, ৫০ জন পাকিস্তানী রেঞ্জার বন্দি অবস্থায় কলাবাড়িয়ার মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিহত হয়। ১৬ ডিসেম্বর দেশমুক্তির পরে পাকিস্তানীদের গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ঘোর অপরাধী রাজাকারদের হাজতে পাঠানো হয়। বাকিদের মুক্তি দেওয়া হয়। পুলিশ থানা প্রায় ৩ মাস কমান্ডার আবুল কালাম ও তাঁর সহযোগিদের শাসনধীন থাকে। কালিয়ার যুদ্ধে বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা আহত হয়। নিহত হয় মুজিব বাহিনীর ১ জন ও মুক্তিবাহিনীর ৩ জন যোদ্ধা, তারা হলেনঃ (১) নোয়াগ্রামের আবুবকর শেখ (২) বাঐসোনার আকামানউদ্দীন মোল্যাহ (৩) মূলশ্রীর ছাদু মল্লিক ও (৪) রামপুরার দাউদ চৌধুরী।
[৫৮৭] মহসিন হোসাইন
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত