করিমপুর ঘাঁটি আক্রমণ (‘জোহা বাহিনী’) চাঁদপুর
করিমপুরের আফতাব মুন্সীর নির্দেশনায় রাজাকাররা ধলনগর প্রতাপুর এলাকায় যে লুটপাট, অত্যাচার ও নারী নির্যাতন চালাতে থাকে তার প্রতিশোধের জন্য মকবুল হোসেন, শাহ্ নুরুজ্জামান, সদরউদ্দিন, হাসান কাজী, মঞ্জুর হাসানের নেতৃত্বে একদল স্থানীয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা নদীর অপর পাড়ে (কালিগঞ্জা নদী) আফতাব মুন্সির বাড়ি আক্রমণ করেন। এর ফলশ্রুতিতে সে তার দল ও মিলিয়াশিয়াদের (বাঁশ গ্রামের) সহায়তায় ধলনগরের হিন্দুপাড়া সম্পূর্ণ এবং মুসলমান এলাকার ব্যাপকসংখ্যক বাড়ি পুড়িয়ে দেয় এবং মকবুল হোসেন শাহকে ধরার চেষ্টা করে। জলিল মোল্লা (ধলনগর), জোবেদ আলী (নিয়ামত বাড়ি) এবং মনসুর আলীকে ধরে প্রচণ্ড নির্যাতন চালায়। এতে জলিল মোল্লা চিরতরে পঙ্গু হয়ে যান। এরপর খন্দকার শামসুজ্জোহা (কুশলীবাসা) প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্থানীয়দের নিয়ে ‘জোহা বাহিনী’ নামে একটি বিরাট দল গঠন করেন। তিনি করিমপুর অভিযানে চালিয়ে তিনজন তিনজন রাজাকারদের হত্যা করেন এবং বেশ কিছু অস্ত্র হস্তগত করেন। ‘জোহা বাহিনী’ চাঁদপুর ইউনিয়নে রাজাকারদের যাবতীয় অত্যাচার প্রতিরোধ করে নিজেদের অবস্থান শক্ত করে এবং কুমারখালীর দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিটা এলাকাতে গণবাহিনীর ও মুজিব বাহিনীর সহায়ক শক্তি হিসেবে নিজেদের তুলে ধরেন।
[৫০] ডা. মোঃ দেলোয়ার হোসেন খান
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত