আফসার ব্যাটিলিয়ন
ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার নিভৃত পল্লী মল্লিকবাড়ি গ্রামে একটিমাত্র রাইফেল নিয়ে মেজর আফসার উদ্দিন আহমেদ একটি বাহিনী গঠন করেন। পাকবাহিনী ও দুস্কৃতকারীদের সঙ্গে লড়াই করে মেজর আফসার হানাদারদের সমুচিত শিক্ষা দিয়েছেন এবং তিনি তাঁর বাহিনী নিয়ে পাকসেনাদের নিকট থেকে আড়াই হাজারেরও অধিক রাইফেল, ব্রেটাগান, রকেট লাঞ্চার, স্টেনগান, এল.এম.জি ইত্যাদি উদ্ধার করেন। আফসার ব্যাটিলয়নের প্রধান ছিলেন মেজর আফসার উদ্দিন। বাহিনীর প্রধান আফসার উদ্দিন আহমেদের নামানুসারে এটি আফসার ব্যাটিলিয়ন নামে পরিচিত ছিল। আফসার ব্যাটিলিয়নে মোট মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ৪,৫০০। মেজর আফসার তাঁর বাহিনীকে সেনাবাহিনীর নিয়মানুযায়ী মোট ২৫টি কোম্পানি এবং ৫টি ব্যাটেলিয়ন ভাগ করেন। আবার প্রত্যেক কোম্পানিকে ৩টি প্লাটুনে ৩টি সেকশন এবং প্রত্যেক সেকশনে ১৫ জন করে মুক্তিযোদ্ধা ছিল। উল্লেখ্য হাসপাতাল, পত্রিকা অফিস এবং বার্তাবাহক মুক্তিযোদ্ধারা কোম্পানির অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না। আফসার ব্যাটেলিয়নের নেতৃস্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা। অধিনায়ক- মেজর আফসার উদ্দিন আহমেদ, সহকারী অধিনায়ক-মমতাজ উদ্দিন খান (শহীদ), নাজীম উদ্দিন (শহীদ), আবদুল হাকিম, আবুল কাশেম এবং হাফিজুর রহমান, এডজুট্যান্ট- এ.এন.এম. মোছলেম উদ্দিন আহাম্মেদ বি.এ সিকিউরিটি অফিসার-মোঃ আখতার হোসাইন মণ্ডল, সহ-সিকিউরিটি অফিসার-মোঃ আবদুল হামিদ (গফরগাঁও), কোয়ার্টার মাস্টার- ডাঃ হাফিজ উদ্দিন, এ.কে.এম আসাদুজ্জামান, মোঃ মোছলেম উদ্দিন (ডাকাতিয়া) নুরুল আমিন, মোঃ ফজলুল হক বেগ, এস.এম. ওমর আলী, মোঃ আব্দুল গফুর মাস্টার, মোছলেম উদ্দিন, মোঃ আব্দুল মোতালিব ও সুবেদার মেজর সুলতান আহম্মেদ। অফিস ইনচার্জ-মোঃ হাফিজুর রহমান, জে.সি ও এডজুটেন্ট- মোঃ আঃ মোতালেব হাবিলদার, একাউন্ট ক্লার্ক-মোঃ আব্দুল কাশেম, সহকারী ক্লার্ক- মোঃনুরুল আমিন, ডিসপাস ক্লার্ক- মোঃ আব্দুল খালেক, সহ-ক্লার্ক-শাহজাহান চৌধুরী। স্টেট ক্লার্ক- মোঃ আব্দুল খালেক, সহ-ক্লার্ক- শাহজাহান চৌধুরী। স্টেট ক্লার্ক- মোঃ জামাল উদ্দিন, সহকারী ক্লার্ক- মোঃ আলী আকবর, রেকর্ড ক্লার্ক- এফ,এম আবুল কাসেম, সহকারী ক্লার্ক- নুরুল হুদা চৌধুরী, বি.এইচ.এম মোঃ আবুল কাশেম (বগুড়া) গফরগাঁও, অডিটর- মোঃ আঃ সবুর (বি.কম)। কোম্পানি কমাণ্ডার ও সহকারী কোম্পানী কমাণ্ডারদের নামঃ মোঃ চান মিয়া, মোঃ আব্দুল কুদ্দুস খান, মোঃ আইয়ুব আলী, মোঃ আব্দুল হাকিম, মোঃ আনছার উদ্দিন মাস্টার, শামসুদ্দিন আহম্মেদ, মোঃ কাছিম উদ্দিন, মোঃ নাজিম উদ্দিন, মোঃ ফয়েজ উদ্দিন, মোঃ আব্দুল মজি, বশির উদ্দিন আহম্মেদ, মোঃ ফজলুর ওয়াহাব, মোঃ ওয়াহেদ আলী, মোঃ নুরুল ইসলাম, মোঃ ফজলুল হক বেগ, মোঃ শামসুর রহমান, মোঃ সিরাজুল হক এমদাদুল হক (দুলু), মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, মোঃ খলিলুর রহমান, মোঃ আলাউদ্দিন আহম্মেদ, গিয়াস আহম্মেদ, মোঃ আব্দুল করিম, মোঃ এস.এম. শামসুল হক খোকন, মোঃ আব্দুস ছামাদ। সহকারী কোম্পানি কমাণ্ডারঃ মোঃ কাজিম উদ্দিন, মোঃ মজিবর রহমান (১), মোঃ আব্দুল বারী মাস্টার, মোঃ সিদ্দিক হোসাইন, মোঃ সিরাজুল হক, মোঃ আজিজুর রহমান (২), মোঃ আব্দুল হালিম, মোঃ হাসমত আলী, মোঃ জুরান আলী, মোঃ আবুল (ফুলপুর), তমিজ উদ্দিন আহম্মেদ, মোঃ আইয়ুব আলী, মোঃ হাতেম আলী খান, মোঃ আঃ ছাত্তার, মোঃ সিরাজুল হক, মোঃ আব্দুর রশিদ, মোঃ খোরশেদ আলম, মোঃ সিরাজুল হক, মোঃ আবছার উদ্দিন মুন্সী, মোঃ নজরুল ইসমাইল, মোঃ আবুল কাশেম (যোকনগর), মোঃ সিরাজুল হক (রায়মণি), আব্দুল মান্নান (আমিরা বাড়ি), মোঃ নুরুল আমীন খান, মোঃ আঃ মোতালেব খান। আফসার ব্যাটেলিয়ন বেশ কয়েকটি বিভাগে মুক্তিযোদ্ধারা কাজ করে বাহিনীকে শক্তিশালী ও গতিশীল করে তোলে যেমন; তেমনি ঐ সমস্ত ৬ বিভাগের কার্যক্রমের জন্য তথাকার মানুষের মধ্যে অনেকটা শান্তি, সুখও ছিল। এসব বিভাগের মধ্যে ছিল ১. বিচার বিভাগঃ মেজর আফসার উদ্দিন আহমেদ মোঃ সিরাজুল হক, আইয়ুব আলী, আখতার হোসেন মণ্ডল, মোঃ হাফিজুর রহমান, মোঃ চান মিয়া, আঃ হাকিম, আবুল কাশেম, শামসুদ্দিন আহম্মেদ, এ এন. মোছলেম উদ্দিন আহম্মেদ। ২. শাসন বিভাগঃ মেজর আফজসার উদ্দিন আহমেদ, মোঃ আব্দুল হাকিম, আনছার উদ্দিন মাস্টার, হাফিজুর রহমান, আবুল কাশেম, আব্দুল জলিল, ফজলুল হক বেগ, আখতার হোসেন মণ্ডল, চান মিয়া, মোঃ ফজলুল ওয়াহবা। আফসার ব্যাটেলিয়েনের একটি উপদেষ্টা পরিষদ ছিল। ঐ পরিষদে উপদেষ্টা সদস্য ছিলেন- মেজর আফসার উদ্দিন, ডা. ওয়াইদ উদ্দিন আহম্মেদ, মোঃ হাফিজুর রহমান, মোঃ আব্দুর হাকিম, হাফিজ উদ্দিন আহম্মদ, আখতার হোসেন মণ্ডল, মোঃ ফজলুল হক বেগ, মোঃ আব্দুল জলিল, মোঃ আনছার উদ্দিন মাস্টার, মোঃ ফজলুল ওয়াহাব। আফসার ব্যাটেলিয়নের পরিচালনাধীন একটি ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল ছিল। এই হাসপাতালের মাধ্যমে আহত ও অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার পাশাপাশি বিপর্যস্ত মানুষের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হতো। উক্ত হাসপাতালে ১৩ জন ডাক্তার ও ৩ জন নার্স ছিল। মেজর আফসার উদ্দিন আহমেদ ‘জাগ্রত বাংলা’ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশের ব্যবস্থা করেন। এই পত্রিকা যাবতীয় সংবাদ পরিবেশন করে মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতাকামী বাঙালীর মনে প্রেরণা যুগিয়েছে।
আফসার ব্যাটেলিয়নের যুদ্ধক্ষেত্র ছিল ময়মনসিংহ জেলার দক্ষিণের বিরাট এলাকাসহ ঢাকা এবং গাজীপুর জেলার বিশেষ এলাকা। এ সমস্ত এলাকায় আফসার ব্যাটেলিয়ন অসংখ্য যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে পাকসেনাদের বিরুদ্ধে। তারা বহু পাকসেনা ও তাঁদের সহযোগিদের হত্যা করে। যুদ্ধে আফসার বাহিনীর বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। আফসার ব্যাটেলিয়নের যুদ্ধক্ষেত্র এলাকায় গ্রাম্য রক্ষীবাহিনী গড়ে তোলেন। আফসার ব্যাটেলিয়নের সফলতা ও অগ্রগতির জন্য গ্রাম্য রক্ষীবাহিনী বিশেষ অবদান রাখে। গ্রাম্য রক্ষীবাহিনীর অক্লান্ত পরিশ্রম, অকৃত্রিম সেবাযত্ন এবং অসীম ভালোবাসার ওপর ভিত্তি করেই আফসার ব্যাটেলিয়ন সফলতার চরম শিখরে আরোহণ করতে সক্ষম হয়েছে। বিশেষ করে বাটাজুর, কাচির, ডাকাতিয়া, পাঁচগাঁও, কাওসেমারীরা, ফুলবাড়িয়া, আমরাবাড়ি, নারাঙ্গী, বড়ইদ, দক্ষিণ ফুলবাড়িয়া ও কালিয়াকৈর এলাকায় গ্রাম্য রক্ষীবাহিনী স্বাধীনতা সংগ্রামে যে ভূমিকা পালন করেছে তা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস চিরস্মরণীয় হতে থাকবে।
পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর আক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য বাঙালী নওজোয়নরা বীরবিক্রমে পাল্টা আক্রমণ চালায়, কিন্তু পাকসেনাদের মতো সুসংগঠিত বর্বর বাহিনীর সঙ্গে টিকে ওঠা সম্ভব না হওয়ায় পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের আশ্রয় নেন মুক্তিপাগল জনতা। মাতৃভূমিকে মুক্ত করার জন্য জীবন মুরণপণ করে অগণিত বাঙালী সন্তান ভারতে সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ শুরু করে। মেজর আফসার উদ্দিন আহমেদ ভারতে পাড়ি না জমিয়ে দেশের অভ্যন্তরে মুক্তিবাহিনী গঠন করেন। এই বাহিনী নিয়ে বর্বর বাহিনীকে আক্রমণ করে একটি বিরাট এলাকা মুক্ত করেন। একইভাবে টাঙ্গাইল জেলার কাদের সিদ্দিকীও দেশের অভ্যন্তরে বাহিনী গঠন করে এক বিরাট এলাকা মুক্ত করার প্রয়াস চালান। ভারত থেকে মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে আসার বেশ কিছুদিন আগেই পাকসেনাদের নিকট থেকে অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ ছিনিয়ে এনে মেজর আফসার উদ্দিন তাঁর পরিচালিত বাহিনীকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলেন। তিনি ১৯৭১ সালের জুন মাসে ভালুকা থানার ভাওয়ালিয়া বাজু এলাকায় পাকবাহিনীর সঙ্গে একটানা ৪৮ ঘন্টা সম্মুখযুদ্ধ করে এক রেকর্ড সৃষ্টি করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি অগণিত সম্মুখযুদ্ধ ও গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনা করেন। তার অসীম কর্মদক্ষতার গুণে তিনি মাত্র একটি রাইফেল থেকে শুরু করে সাড়ে চার হাজারেরও অধিক মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে এক বিশাল বাহিনী গঠন করেন। যা আফসার ব্যাটেলিয়ন নামে ইতিহাস স্থান লাভ করে। যুদ্ধ চলাকালীন সময় এবং দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মুক্তিবাহিনী ভেঙে দেওয়ার পূর্ব পর্যন্ত মেজর আফসার তার বাহিনীকে অত্যন্ত সুন্দরভাবে পরিচালনা করেন। মেজর আফসার শপথ করেছিলেন দেশকে হানাদার মুক্ত না করা পর্যন্ত অস্ত্র ত্যাগ করবেন না। আমার যদি মৃত্যু হয় তা যেন মুক্ত এলাকাতেই হয়। বর্বর পাকিস্তানী বাহিনী শত চেষ্টা করেও আফসার ব্যাটেলিয়ন কর্তৃক মুক্ত এলাকায় প্রবেশ করতে পারেনি। সাপ্তাহিক জাগ্রত বাংলায় তার বাহিনী কর্তৃক মুক্ত এলাকায় মানচিত্র অংকন করে সমস্ত বাংলাদেশে ও ভারতেও বিতরণ করেন। ঐ পত্রিকার বহু কপি পাকিস্তানী সেনাদের অনেক ঘাঁটিতেও পাঠানো হয়।
মেজর আফসার ১৯৭১ সালে আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময় আগরতলা যান এবং সেখানে লে. কর্নেল নুরুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। লে. কর্নেল নুরুজ্জামান বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তাকে কিছু অস্ত্র ও অসীম উৎসাহ-উদ্দীপনা দিয়ে বিশেষভাবে উপকৃত করেন।
১৯৭১ সালের ২৩ এপ্রিল ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মল্লিকবাড়ি ইউনিয়ন কাউন্সিল সদস্য মেজর আফসার উদ্দিন আহমেদ মাতৃভূমিকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত করার উদ্দেশ্যে ভালুকা থানার রাজেই গ্রামের বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ কর্মী মোঃ আব্দুল হামিদ সাহেবের নিকট থেকে একটি রাইফেল ও ৩০ রাউন্ড গুলি নিয়ে মুক্তিবাহিনী গঠন করার সিদ্ধান্ত নেন। পরের দিন ২৪ এপ্রিল ই.পি আর বাহিনীর ফেলে যাওয়া ৭টি রাইফেল এবং হামিদ সাহেবের নিকট থেকে নেয়া ১টি রাইফেল এই মোট ৮টি রাইফেল নিয়ে মেজর আফসার মুক্তিযুদ্ধের কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন; প্রথমদিকে তাঁকে যারা মুক্তিবাহিনী গঠনে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেন তারা হলেন- মোঃ আমজাদ হোসেন, মোঃ আব্দুল খালেক, শ্রী নারায়ণ চন্দ্র পাল, মোঃ আবদুর বারেক মিয়া, মোঃ আব্দুল মান্নান, শ্রী অনিল চন্দ্র সাংমা, ছমির উদ্দিন মিয়া। এদের মধ্যে আব্দুল মান্নান ও অনিল চন্দ্র সাংমা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন। এরও সহযোগিতা করেন মোঃ জনাব আলী ফকির, ডা. হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, মোঃ আব্দুল হামিদ, মোঃ মোসলেম মিয়া, বাবু প্রেম অধিকারী ও মোঃ হাফিজুর রহমান প্রমুখ। মেজর আফসার বাহিনী গঠনের পর ভালুকা, গফরাগাঁও, ত্রিশাল, কোতোয়ালি, শ্রীপুর, কালিয়াকৈর, বাসাইল, কালিহাতি, মির্জাপুর, মুক্তাগাছা প্রভৃতি এলাকায় কাজ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর বিভিন্ন স্থানে শত্রুর ওপর আক্রমণ শুরু করেন মেজর আফসার। ২৫ এপ্রিল কয়েকটি স্থানে আক্রমণ করে ডাকাত ও সমাজবিরোধীদের নিকট থেকে বেশ কয়েকটি অস্ত্র উদ্ধার করেন। এমনিভাবে একের পর এক বিভিন্ন স্থানে হানা দিয়ে অনেকগুলি অস্ত্র আনেন। এতে মেজর আফসারের অস্ত্র সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৮ থেকে ২৫ টিতে এসে দাঁড়ায়। এ সমস্ত অস্ত্র উদ্ধারের পর মেজর আফসার ও তাঁর বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধাদের শক্তি ও সাহস ব্যাপক বৃদ্ধি পায়।
আফসার ব্যাটেলিয়ন পাকিস্তানী সেনাদের বিরুদ্ধে বহু যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। তাঁদের আক্রমণে বিভিন্ন যুদ্ধে প্রা দেড় হাজারের অধিক পাকিস্তানী সেনা নিহত হয় এবং চার শতের বেশি পাকিস্তানী সেনা আহত হয়। যুদ্ধে আফসার ব্যাটেলিয়নের শহীদ হন আব্দুল মান্নান, অনিল চন্দ্র সাংমা, আব্দুল মান্নান-২, মমতাজ উদ্দিন, শমসের আলী, জাহির উদ্দিনসহ প্রায় ৫০ জনের মতো মুক্তিযোদ্ধা।
[২৬৩] তপন শিকদার
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত