আত্মসমর্পণ দলিল
পূর্ব রণাঙ্গনে ভারতীয় ও বাংলাদেশী যৌথ বাহিনীর জেনারে অফিসার কমান্ডিং ইন চিফ লেফটেন্যান্ট জেনারে জগজিৎ সিং অরোরার কাছে পাকিস্তান পূর্বাঞ্চলীয় সামরিক কমান্ড বাংলাদেশে অবস্থানরত পাকিস্তানের সব সশস্ত্র বাহিনী আত্মসমর্পণে সম্মত হলো। পাকিস্তানের স্থল, বিমান ও নৌবাহিনীসহ সব আধা সামরিক ও বেসামরিক সশস্ত্র বাহিনীর ক্ষেত্রে এ আত্মসমর্পণ প্রযোজ্য হবে। এই বাহিনীগুলো যে যেখানে আছে, সেখান থেকে সবচেয়ে নিকটস্থ লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরয়ার কর্তৃত্বাধীন নিয়মিত সেনাদের কাছে অস্ত্রসমর্পণ ও আত্মসমর্পণ করবে।
এই দইল স্বাক্ষরের সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় সামরিক কমান্ড লেফটেন্যান্ট জেনারেল অরোরার নির্দেশের অধীন হবে। নির্দেশ না মানলে তা আত্মসমর্পণের শর্তের লঙ্ঘন বলে গণ্য হবে এবং যুদ্ধের স্বীকৃত আইন রীতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আত্মসমর্পণের শর্তাবলির অর্থ অথবা ব্যাখ্যা নিয়ে কোনো সংশয় দেখা দিলে লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা আত্মসমর্পণকারী সেনাদের জেনেভা কনভেনশনের বিধি অনুযায়ী প্রপাপ্য মর্যদা ও সমমান দেওয়ার পবিত্র প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন এবং আত্মমসমর্পণকারী পাকিস্তানী সামরিক ও আধা সামরিক ব্যক্তিদের নিরাপত্তা ও সুবিধার অঙ্গীকার করেছেন। লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ অরোরার অধীন বাহিনীগুলোর মাধ্যমে বিদেশি নাগরিক, সংখ্যাঘু জাতিসত্তা ও জন্মসূত্রে পশ্চিম পাকিস্তানী ব্যাক্তিদের সুরক্ষা দেওয়া হবে।
স্বাক্ষর (জগজিৎ সিং অরোরা)
লেফটেন্যান্ট জেনারেল
স্বাক্ষর
আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজি
লেফটেন্যান্ট জেনারেল
জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ইন চিফ প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক পূর্ব রণাঙ্গনে ভারত ও বাংলাদেশ যৌথ বাহিনী অধিনায়ক পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড (পাকিস্তান) ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১, ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১
রিয়াজ আহমেদ
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত