হাউজিং এস্টেট বধ্যভূমি, কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়া শহরতলির বিহারি অধ্যুষিত হাউজিং এস্টেট হলো আর এক বধ্যভূমি। নির্মম গণহত্যার নীরব সাক্ষী এই হাউজিং এলাকা। শহর থেকে বাঙালিদের ধরে এনে এখানে হত্যা করা হতো। লাশগুলো কখনো পায়খানার ট্যাঙ্ক, কখনো পাশের ক্যানেলে ফেলে দেয়া হতো। হত্যাকুঠি হিসেবে ব্যবহৃত একটি ভগ্নজীর্ণ ঘর এখনো হাউজিং-এর দক্ষিণ-পূর্ব পাশে দাঁড়িয়ে আছে। কুষ্টিয়ার মহাশ্মশান, স্টেশন রোডের ১নং গুদাম ও রাজার পুকুরের পার্শ্ববর্তী এলাকাও বধ্যভূমি হিসেবে ব্যবহৃত হতো। গড়াই নদীর ধারে, জুয়েল অ্যালুমিনিয়াম ফ্যাক্টরির অভ্যন্তরে এখনো কালের সাক্ষী হয়ে রয়েছে একটি তেঁতুলগাছ। ইংরেজি ণ বর্ণের মতো এর দুটো বিস্তারিত শাখার মাঝখানে মাথা চেপে রেখে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হতো বাঙালিদের। মিল পাড়ার কোহিনূর বেকারির মালিককে সপরিবারে এ রকম নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় বলে জানা যায়।
[৩৪] ডা. এম.এ. হাসান
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত