হাজীপুর গণহত্যা, সিলেট
কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের উত্তর পলকী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আরজু মিয়া ভারত যাওয়ার পর তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং এপ্রিল মাসের দিকে কিছু দালাল তাঁকে রাস্তা থেকে পাকড়াও করে হস্তান্তর করে পাকবাহিনীর কাছে। ১৬ এপ্রিল শমসেরনগর বিমানবন্দরের রানওয়েতে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে পাক সৈন্যরা। মনুতে একটি অপারেশন করতে এসে ধরা পড়ে প্রাণ হারান আর একজন মুক্তিযোদ্ধা। পলকীর পুলে অপারেশনে শহীদ হন মুক্তিযোদ্ধা শুকুর মিয়া। বড়খার বাড়ির সিরাজুল ইসলামকেও হত্যা করে পাকবাহিনী গুলি করে।
পাকবাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা শারীরিক নির্যাতন করে, পার্শ্ববর্তী টিলাগাঁও ইউনিয়নের ধ্রুব দত্ত শহীদ হন নবীগঞ্জের যুদ্ধে। নয়াবাজার এলাকার কটাই মিয়াকে হত্যা করা হয় গুলি করে। মিয়ারপাড়া গ্রামে পাইকারি নির্যাতন চালায় পাকবাহিনী।
শরিফপুর ইউনিয়নের আসগর আলী, সিরাজ উদ্দিন, জহির উদ্দিন, আবদুল আলী, আবদুস শহীদ, ইয়ানুর আলী, আতাউর রহমান প্রমুখ পাকবাহিনীর সঙ্গে মুখোমুখি যুদ্ধ করে প্রাণ বিসর্জন দেন।
[৪৬] তাজুল মোহাম্মদ
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত