হাজীপুর গণহত্যা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান জানান, মুক্তিযুদ্ধের প্রথমদিকে তারা ৪ জন হাজীপুর স্কুলের কাছে আসার পর পাকিস্তানি সৈন্যরা তাকেসহ হাজীপুর এবং আশেপাশের অনেক গ্রাম থেকে লোকজনকে ধরে এনে আটক করে। সেখানে আটককৃতদের মুসলমানিত্ব প্রমাণ করার জন্য শাহজাহানসহ সকলের লুঙ্গি উল্টিয়ে পরীক্ষা করে। এ সময় পাকবাহিনীর সহায়তাকারী হিসেবে কয়েকজন রাজাকার ও বিহারি ছিল। সেখানে লুঙ্গি খুলে শরীরের বিশেষ অঙ্গ দেখে মুসলমানিত্ব প্রমাণের পর ১৪ জন মুচি ঋষিকে আলাদা করে। ১৪ জনকে দুই সারিতে লাইন ধরে দাঁড় করিয়ে বেয়নেট চার্জ করে নির্মমভাবে হত্যা করে।
[১১৯] শাহজাহান আলম সাজু
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত