সার্কিট হাউস নির্যাতন কেন্দ্র ও গণহত্যা, কুড়িগ্রাম
৭ এপ্রিল পাকসেনারা কুড়িগ্রাম শহরে প্রবেশ করেই বর্তমান সার্কিট হাউসের সামনে গুলি চালালে ৫ জন কারারক্ষী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। জেলার হেদায়েতউল্লাহ গুরুতর আহত অবস্থায় ঐ রাতেই মৃত্যুবরণ করেন। পাকসেনারা ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে হত্যা-ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে সেদিনের মতো কুড়িগ্রাম ত্যাগ করলে স্থায়ীভবে ঘাঁটি গড়ে তোলে। পাকসেনারা সাবেক সার্কিট হাউসটিকে নির্যাতন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে। ‘সংবাদ’ প্রতিনিধি রবীন্দ্রনাথ রায় উল্লেখ করেছেন: ‘… নতুন শহরে অবস্থিত সাবেক সার্কিট হাউসটি ছিল পাকহানাদার বাহিনীর নির্যাতন কেন্দ্র। মজিবর মুহুরি ও লুলু মণ্ডলসহ আরো অনেককে এখানে ধরে এনে নির্যাতন করা হয়। এছাড়া পলাশবাড়ি থেকে ১৪-১৫ জনকে ধরে এনে এখানে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম ফুড অফিস ও জজ কোর্টের সামনের পুকুর পাড় খনন করলে এখনো কিছু লাশের কঙ্কালের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে বলে কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট আমান উল্লাহ জানান।
[১৩৭] সুকুমার বিশ্বাস
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত