লালপুর গণহত্যা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
১৩ ডিসেম্বর সামরিক কমান্ড কাউন্সিল থেকে গোপনে ক্লোজ হওয়ার নির্দেশ পেয়ে পাকবাহিনী যে যেখানে আছে তার নিকটবর্তী এয়ারপোর্টে এসে অবস্থান নেয়। সে দিনটিতে প্রায় আড়াইশ পাকসেনা ঈশ্বরদী এয়ারপোর্টের পথে রওয়ানা হয়েছিল। ভোরে লালপুর সদর ত্রিমোহনী সদরের কাছে মুক্তিযোদ্ধা গ্রুপ কমান্ডার ফারুক গুলি করলে সাথে সাথে হানাদার বাহিনী এক মাইলব্যাপী অঞ্চলটিকে ঘিরে ফেলে। বাহিনীর অগ্রভাগ নদীর প্রায় কাছাকাছি ছিল বলে পেছনটাকে উত্তর দিক হয়ে বেড় দিতে হয়েছে। কাজেই মুক্তিযোদ্ধারা সময় পেয়েছিলেন হাতে। কিন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগেই গাঁয়ের ২৬ জন যুবক পাকবাহিনীর হাতে আটকা পড়ে। মুহূর্তে বেঘোরে তাদের প্রাণ দিতে হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে আশপাশের আরও ৩২ জনকে থানার কাছে এবং ৬ জনকে বাজারের মোড়ে হানাদার বাহিনী গুলি করে হত্যা করে।
[১২] গোপাল দত্ত
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত