৫ এপ্রিল ১৯৭১ঃ মেজর ওসমান তাজউদ্দীন বৈঠক
তাজউদ্দীন এবং বিএসএফ আইজি রুস্তমজী এদিন জীবন নগর সীমান্তে আসেন এবং মেজর ওসমানকে তার সাথে দেখা করার জন্য খবর পাঠান। মেজর ওসমান সীমান্তে আসলে কৃষ্ণ নগরের ৭৬ ব্যাটেলিয়ন অধিনায়ক লেঃকঃ এইচআর চক্রবর্তী তার সাথে আলিঙ্গন করে অভ্যর্থনা জানান। পরে সীমান্তের কাছেই তাজউদ্দীনের কাছে মেজর ওসমানকে নিয়ে যান। তাজউদ্দীন মেজর ওসমানের কাছে ২৬ মার্চ পরবর্তী ঘটনা প্রবাহ শুনেন। তার কাছ থেকে তাজউদ্দীন যশোর দখলের পরিকল্পনা জানতে চাইলেন এবং যশোর দখল সার্থক করতে তার কি কি লাগবে। মেজর ওসমান সব জানালেন তাজউদ্দিন আশ্বাস দিয়ে বিদায় নিলেন। লেঃকঃ চক্রবর্তী সেদিন মেজর ওসমানকে সেদিনের স্মৃতি স্বরূপ আবেগে একটি চেকস্লভিয়ান এলএমজি দিতে চাইলেন। মেজর ওসমান তার ব্যাবহার জানতেন না। লেঃকঃ চক্রবর্তী এটার কৌশল যখন দেখাচ্ছিলেন তখনই খবর আসে পাক বাহিনী চুয়াডাঙ্গা দখলের উদ্দেশে ঝিনাইদহ অগ্রসর হচ্ছে। মেজর ওসমান তার এক সৈনিক রেখে আসেন তার কৌশল শিখার জন্য। বিদায় কালে চক্রবর্তী জানান অচিরেই ওসমান এর বাহিনীর জন্য ভারী অস্রের বেবস্থা হচ্ছে। লেঃকঃ চক্রবর্তী ওসমানকে আইজি অফিসের মেজর বিএন ভট্টাচার্যের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের পরামর্শ দেন। তিনি চুয়াডাঙ্গা ফিরে ডাঃ আসহাবের সাথে বৈঠক করে পাক বাহিনীর প্রতিরোধের প্রস্তুতি চূড়ান্ত করার পর জানা গেল সেটা তাদের নকল আক্রমনের প্রহসন ছিল।