৫ এপ্রিল ১৯৭১ঃ বাহিনী পুনর্গঠন ও প্রতিরোধ যুদ্ধ- সিলেট
মেজর চিত্তরঞ্জন দত্ত তাঁর দুই কোম্পানিসহ শেরপুর-শাদীপুর থেকে প্রধান সড়ক হয়ে এবং ক্যাপ্টেন আজিজের নেতৃত্বে দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গলের নিয়মিত সৈনিকরা শ্রীমঙ্গল-কুলাউড়া-বিয়ানিবাজার – চরখাই-এর পথ ধরে সিলেটের দিকে তৎপরতা শুরু করে।
শেরপুর ঘাট এলাকায় পাকসেনা ও চিত্তরঞ্জন দত্তের বাহিনীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাধে। শেরপুর ঘাট চিত্তরঞ্জন দত্তের বাহিনীর দখলে আসে। এ যুদ্ধে পাকবাহিনীর ১২ জন নিহত হয়। এদের একত্র করে সেখানেই দাফন করা হয়। শহীদ হন তিনজন মুক্তিযোদ্ধা এদের মৌলভীবাজারে দাফন করা হয়। শেরপুর ঘাট দখলের পর উত্তরপারের সাদিপুর দখলের জন্য চিত্তরঞ্জন দত্তের বাহিনী প্রস্তুতি নিলেন এর মধ্যে সেখানে আরও পাক বাহিনী জড়ো হয়। চিত্তরঞ্জন দত্ত মানিক চৌধুরীকে মনু নদীর পাড় দিয়ে সাদিপুর আক্রমনের জন্য একটি বাহিনী পাঠাতে বলেন। সন্ধ্যার দিকে সাদিপুর দখলে আসে। সুরমা নদীর সমগ্র দক্ষিণাঞ্চল এবং উত্তর সিলেট শহর শত্রুমুক্ত হয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের হস্তগত হয়।