ব্যাংগাড়ি মাঠ বধ্যভূমি, কুষ্টিয়া
১১ নভেম্বর গভীর রাতে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ গ্রামের ব্যাংগাড়ি মাঠে হানাদারেরা মুক্তিযোদ্ধাদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। বিষয়টি আঁচ করেন মেহেরপুরের তৎকালীন মহকুমা এসডিও তৌফিক এলাহী চৌধুরী। তখনই এলাহী চৌধুরীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা এবং ক্যাপ্টেন দত্তের নেতৃত্বে মিত্রবাহিনী হানাদারদের সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে অবতীর্ণ হন। সারা রাত চলে ওই যুদ্ধ। দুই শতাধিক পাকিস্তানি সেনা মারা যায়। শহীদ হন চারজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনীর চারজন সদস্য। এরপর ভোরে রাজাকাররা মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করে মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের স্বজনদের ধরে এনে এই ব্যাংগাড়িতেই হত্যা করে। ওই দিন তারা রফাতুল্লা, শহীদুল ইসলাম, ফকর উদ্দিন, জসিমুদ্দিনসহ ছয়জনকে ধরে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে।
[৩৬৯] তারিকুল হক তারিক
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত