বরমচাল গণহত্যা, সিলেট
একাত্তরে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার সর্ব উত্তরে ছিল বরমচাল ইউনিয়ন। এখানকার জনগণও অত্যন্ত রাজনীতি সচেতন। শায়েস্তা মিয়াকে বাড়ি ঘেরাও করে একদিন পাকবাহিনী ধরে নিয়ে যায়। তারপর তাঁকে হত্যা করে বুলেটের পর বুলেট বিদ্ধ করে।
রমনী মোহন ভট্টচার্য। বরমচাল ইউনিয়ন পরিষদের সেক্রেটারি। একদিন ধরে নিয়ে গিয়ে তাকে হত্যা করে পাকবাহিনী। এ অঞ্চলে আরো হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধা শরৎ উল্লা, মখলিছ মিয়া ও সুনীল পালসহ আরো কয়েকজনকে। তোতা মিয়া নামের এক দালাল এসব হত্যাকাণ্ডে সক্রিয় সহায়তা করেছে।
গিরীন্দ্র বর্ধনকেও ধরে নিয়ে যায় পাকবাহিনী। তাঁর ওপর চালানো হয় অমানুষিক অত্যাচার। পরে একজন পুলিশ অফিসারের সহায়তায় তিনি পালিয়ে নিজের প্রাণরক্ষা করেন। এই ইউনিয়নের পনু মিয়াকে কুলাউড়ায় নিয়ে গিয়ে হত্যা করে পাক হায়েনারা। পাকবাহিনীর মুখোমুখি যুদ্ধে শহীদ হন মাধবপুর গ্রামের শহর উল্লা।
[৪৬] তাজুল মোহাম্মদ
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত