খুলনা রেলওয়ে স্টেশন হত্যা ও নির্যাতন, খুলনা
পাকসেনা ও রাজাকার বাহিনী কর্তৃক বাঙালিদের ধরার একটি উপযুক্ত ছিল খুলনা রেলওয়ে স্টেশান। তখন খুলনার সাথে উওরঙ্গের একমাত্র বাহন ছিল রেলপথ। দীর্ঘদিন ধরে এ পথে খুলনা, ফরিদপুর, ও বরিশাল অঞ্চলে র হাজার হাজার মানুষ উওরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় গমনাগমন করত। মুক্তযুদ্ধ শুরু হুয়ার পর প্রতিদিন শত শত মানুষ এ পথে বাড়ি ফিরতে চেষ্টা করে এ সুযোগটি নেয় ঘাতকরা । তারা রেলষ্টেশনে ওঁৎ পেতে থাকতো এবং ষ্টেশনের মাধ্যমে গমনাগমনরত যাত্রীদের ধরে নিয়ে সর্বস্ব লুট করত ও পড়ে হত্যা করে পেট চিরে পাশ্ববর্তী স্টিমারঘাট থেকে নদীতে ফেলে দিত। বিহারিরা ৫ এপ্রিল এখানে রেলওয়ে গার্ড বারঈসহ ৪ থেকে ৫ জনকে হত্যা করে। তারা ১২ মে সহকারি বন রক্ষক ইবনে রসুল মোহাম্মদ জহুরুল হক খান, ব্যবসায়ী আবুল হোসেন কে ট্রেনে হত্যা করে যশোর-খুলনার মাঝামাঝি সিঙ্গিয়া ষ্টেশনের কাছে জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলে দেয়। রেলওয়ে স্টেশন ও স্টিমার ঘাটে শ্রমিকরাও এদের হাত থেকে রক্ষা পায় নি। খুলনা মুক্ত হলে রেলওয়ে স্টেশনের পেছনে একটি পরিত্যাক্ত গোদাম ঘড় ভর্তি নরকঙ্কাল আবিষ্কৃত হয়। এবং এ ঘরটির পাশে দেখা যায় একতি পাকা চোবাচ্চা ভর্তি জমাট বাধা রক্ত।
[৯২] মোল্লা আমির হোসেন
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত