কেটিচত্বর বধ্যভুমি, চাপাইনবাবগঞ্জ
এই শহরের কেটি চত্বরের মধ্যে রয়েছে বধ্যভুমি। ১৯ এপ্রিল পাকসেনারা শহর দখলের পর পাঞ্জাব পুলিশের ব্যারাকে আশ্রয় নেয়। পাঞ্জাব পুলিশ অফিসারের সহযোগিতায় মেজর শেরোয়ানী, ক্যাপ্টেন ইজাজ আহমেদ চীমা, মেজর সাজিদ, মেজর ইউনুস, মেজর ইকবাল এই এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করে। এদের কাজ ছিল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকজনকে ধরে এনে অমানুষিক নির্যাতন করে হত্যা করা। লাশগুলো অধিকাংশ সময় ফেলা হতো ব্যারাকের পেছনের সেপটিক ট্যাংকে। অল্প দূরে গণপুর্ত বিভাগের ডাকবাংলোতে পার্শবর্তী গ্রামগুলো থেকে মেয়েদের ধরে এনে তারা দিনের পর দিনের পর দিন নির্যাতন ও ধর্ষণ করত। নির্যাতনের পর হত্যা করা এসব মেয়েকে। ডাকবাংলোর আমগাছে যুবকদের ঝুলিয়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হত।
[৩৪] ডা. এম. এ. হাসান
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত