কালাপোল সেতু বধ্যভূমি, নোয়াখালী
মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানিদের গতিরোধ করার জন্য ২০ এপ্রিল এই সেতুটি ভেঙ্গে দেয়। কিন্তু তাতে হানাদার ঠেকানো যায়নি। পরবর্তিতে এই কালাপোল সেতু এবং চৌমুহনীর চৌরাস্তায় অবস্থিত পলিটেকনিক্যাল হাইস্কুল্টি নোয়াখালী জেলার সর্ববৃহত জল্লাদখানা বা কসাইখানায় পরিণত হয়। পাকিস্তানিরা স্বাধীনতাকামী বাঙালিদের ধরে এনে পলিটেকনিক্যাল হাইস্কুলে আটকে রেখে অকথ্য নির্যাতন চালাত। তারপর হাইস্কুলের মাত্র পঞ্চাশ গজ উত্তরে কালাপোল সেতুর ওপরে দাঁড় করিয়ে গুলি করে আবার কখনো বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে নিচের খালে ফেলে দিত। এখানে মৃতের সংখ্যা কয়েক হাজার হবে বলে জানা যায়।
[৩৪] ডা. এম. এ. হাসান
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত