কালিগঞ্জের (চৌদ্দপোতা) বধ্যভূমি ও গণকবর, সাতক্ষীরা
কালিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকসেনারা নিরীহ বাঙালিকে হত্যা করে গণকবর দেয়। এসব গ্রামে অনেক বধ্যভূমিরও সন্ধান পাওয়া যায়। পশ্চিম নারায়ণপুর গ্রামের আকিমদ্দি মোড়লের বাড়ির ভেতরের আম ও জামগাছ পাড়ে ১৪ জন মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করে তাঁদের লাশ এখানে পুঁতে রাখা হয়। যুদ্ধের সময় পাকবাহিনী এবং তাঁদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদররা বাঙালিদের হত্যার পর লাশ ফেলার জন্য এখানে একটি বড় গর্ত করে। বিভিন্ন এলাকা থেকে বাঙালিদের ধরে এনে হত্যা করে এ গর্তে লাশ পুঁতে রাখত হানাদাররা। একসঙ্গে ১৪ জন মুক্তিযোদ্ধার লাশ পুঁতে রাখার জন্য এ স্থানটির নাম হয়ে গেছে চৌদ্দপোতা।
কালিগঞ্জ মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক আ. খালেক, তাঁর চাচা আকিমদ্দি মোড়ল (৭২) ও চাচি আনোয়ারা বেগম (৬২) জানান, বর্তমানে উপজেলা হাসপাতালের উত্তর সীমানায় তাঁদের বাড়িতে ঘাঁটি করে পাকবাহিনী। দুটি বাঙ্কার তৈরি করে অবস্থান নিয়ে এখান থেকেই বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাতো। মোকছেদ আলী, আবু বক্কর এসব রাজাকারের সহায়তায় পাকসেনারা এ এলাকায় নিরীহ মানুষ হত্যা, অত্যাচার, নির্যাতন, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করত।
[৩৪] দিলরুবা বেগম
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত