কুড়ারবাজার গোবিন্দশ্রী গ্রাম নির্যাতন ও গণহত্যা, সিলেট
সিলেটের কুরারবাজার ইউনিয়নের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে যাদের কোনো কারণ ছাড়াই প্রাণ দিতে হয়েছে, তারা হলেন খশিরের জামালউদ্দিন আহমদ। তাকে দালালরা আটক করে পাক সৈন্যদের হাতে তুলে দিয়েছিল। এই ইউনিয়নের একটি গ্রামের নাম গোবিন্দশ্রী। একে প্রত্যন্ত গ্রামই বলা হয়। অথচ সেখানেও হানা দেয় পাকবাহিনী। হত্যা করে আব্দুল ওয়াহিদকে। অজয় পরকায়স্থের বাড়িতে আশ্রয়প্রান্ত তারই বোক সুকৃতি এবং ভাগ্নি অনিমাকে ধরে নিয়ে যায় পাকসেনা এবং তাঁদের পথপ্রদর্শক দালাল সাখাওত আলী (মনই) এবং আয়ুব লাঈ (আনই)। রাস্তার মাকে ছেড়ে দিলেও কন্যা অনিমাকে পাকিস্তানি হায়েনাদের চারখাই ক্যাম্পে আটকে রাখে ৩-৪ দিন। ঐ দিন লুট করে অজয় পুরকায়স্থের বাড়ি। গোবিন্দশ্রী বাজারে আগুন দিয়ে ভষ্মীভূত করে নজমুল ইসলাম (আলাউদ্দিন), আব্দুল মান্নান, আরমান আলী ও কবির মিয়ার দোকান। আর গ্রামে ঢুকে পুড়িয়ে দেয় সিরাজ উদ্দিন ও এসু মিয়ার বাড়ি। গ্রেফতারের পরে অনিমাকে পেয়ে তাঁদের সবাইকে ছেড়ে দেয়। হত্যা করে তারা মতি মিয়াকে। পাকবাহিনীর সাথে যুদ্ধ করে প্রাণ দেন দেউল গ্রামের এবং আঙ্গুরা মোহাম্মদপুরের বেশ কিছু লোক।
[৪৬] তাজুল মোহাম্মদ
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত