কচুয়া বধ্যভূমি, বাগেরহাট
১৯৭১ সালের ২৭ আগস্ট শুক্রুবার বাগেরহাটের কচুয়া থানা সদরে রাজাকারদের থানাভিত্তিক একটি ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। তৎকালীন সিও অফিসের একটি ভবন তারা দখল করে নিয়েছিল। প্রথম মাসে এর সদস্য সংখ্যা ছিল ৪১ জন। ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৪১ জনে। তিন চার মাস ধরে এই রাজাকার বাহিনী কচুয়া থানায় নানা ধরণের অত্যাচার চালিয়েছিল এবং তাঁদের ক্যাম্পের সামনেই সৃষ্টি করেছিল একটি বধ্যভূমি। বিভিন্ন সময়ে তারা এই বধ্যভূমিতে টেংড়াখালী গ্রামের হাশেম আলী শেখ, মো. হাবিব শেখ, সতীশ চন্দ্র মণ্ডল, জুসখোলা গ্রামের ধলু সরদার, চরকাঠি গ্রামের আজাহার আলী সরদার, বারইখালী গ্রামের মনীন্দ্রনাথ সাহা, গুয়াতলা গ্রামের বাবু খান, খলিশাখালী গ্রামের অনিল চন্দ্র হালদার, হাজরাকালী গ্রামের নুরুল হক শেখ, কাকারবিল গ্রামের শফিউদ্দিন মৃধা এবং তাঁর ছেলে শাহজাহান মৃধাকে নির্মমভাবে জবাই করে হত্যা করেছে।
[১২৪] স্বরোচিষ সরকার
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত