আদাবর বধ্যভূমি ও গণকবর, ঢাকা
মোহাম্মদপুর জয়েন্ট কলোনি ও কল্যাণপুর বাস ডিপোর মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত আদাবরে ১৯৭২ সালেই বেশকিছু গনকবরের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। এসব গণকবর থেকে উদ্ধার করা হয় শত শত নরকঙ্কাল। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থান থেকে ধৃত নিরপরাধ বাঙালিদের এখানে এনে নৃশংসভাবে গুলি বা জবাই করে হত্যার পর মাটিচাপা দেয়া হতো। স্থানীয় অধিবাসীদের বক্তব্য অনুযায়ী এই হত্যাযজ্ঞে পাকহানাদার বাহিনী, রাজাকার-আলবদরদের পাশাপাশি ব্যপক সংখ্যক বিহারিও জড়িত ছিল। উল্লেখ্য, সে সময় মোহাম্মদপুর ছিল বিহারি অধ্যুষিত এলাকা।
আদাবর এলাকায় সবচেয়ে বড় গণকবরটির সন্ধান পাওয়া গেছে একটি মসজিদের পাশে। মসজিদ সংলগ্ন একটি দোতলা বাড়িতে ছিল রাজাকার আলবদরদের ক্যাম্প, স্বাধীনতার পর স্থানীয় অধিবাসীরা এই রাজাকার ক্যাম্পের পাশে অসংখ্য লাশ দেখতে পান। তারা পাঁচ শতাধিক লাশ ও কঙ্কাল উদ্ধার করেছিল। তাছাড়া আদাবরের শতাধিক কুয়ার প্রায় প্রতিটিতেই অনেক কঙ্কাল রয়েছে বলে জানা যায়। সেগুলো উদ্ধার করা যায়নি।
[২২২] রোজিনা কাদের
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত