৩ এপ্রিল ১৯৭১ঃ বাহিনী পুনর্গঠন ও প্রতিরোধ যুদ্ধ- যশোর
পাকসেনাবাহিনী যশোরের মুক্তিবাহিনী অবস্থানরত এলাকাগুলোতে হঠাৎ করে ব্যাপকভাবে কামানের গোলা নিক্ষেপ করতে থাকে। শহরের দক্ষিণে অবাঙালি বসতির বিভিন্ন বাড়ীতে পাকসেনারা ডিফেন্স নেয়। তুমুল যুদ্ধের পর পাকবাহিনী যশোর দখল করে নেয়। বেনাপোল রোডের শঙ্করপুর ও ঢাকা রোডে বিকেল পর্যন্ত যুদ্ধ চলে। ২ কোম্পানী ইপিআর আনসার মুজাহিদ ছাত্র যুবক এ যুদ্ধে অংশ নেয়। আর এতে নেতৃত্ব দেন ক্যাপ্টেন হালিম। তার সাথে ছিল আগরতলা মামলা খ্যাত লেঃ মতিউর রহমান এমপিএ। এদিন বাঙ্গালী পক্ষে ১৫ জন নিহত হয়। সারা রাত ধরে যুদ্ধ চলে। যুদ্ধক্ষেত্র থেকে একে একে মুজাহিদ আনসাররা চলে যায়। বিদ্রোহী বাঙ্গালী বাহিনী ভোরে নড়াইলের দাইতলায় অবস্থান নেয়। দাই তলায় শক্তিমত্তা এসে দাড়ায় মাত্র এক কোম্পানি এবং তাদের অস্র বলতে ছিল মাত্র তিনটা মেশিন গান।