২ এপ্রিল ১৯৭১ঃ বাহিনী পুনর্গঠন ও প্রতিরোধ যুদ্ধ – ব্রাহ্মনবাড়িয়া
ব্রাহ্মনবাড়িয়া থেকে মেজর হাবিবুল্লাহ বাহার, ক্যাপ্টেন হায়দার, ক্যাপ্টেন সায়গলকে (পরে পশ্চিম পাকিস্তানে পালিয়ে গেছেন) তেলিয়াপারায় পাঠানো হয়। ক্যাপ্টেন গফফার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশে কুমিল্লা ত্যাগের প্রাক্কালে সেখানকার ১০০ বাঙ্গালী সেনা পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছিল। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনি ২৫-৩০ জন এমএনএ, এমপিএকে ভারতে পাঠাবার বেবস্থা করেন।
শফিউল্লার বাহিনীর অবশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া অবস্থান নেয়। খালেদ মোশাররফ সুবেদার আম্বিয়ার ইপিআর এর দুই প্লাটুন উজানিশার ব্রিজ ও গঙ্গাসাগর রেল স্টেশনে মোতায়েনের নির্দেশ দেন। নরসিংদীর পাচদোনায় পাক বাহিনীর সাথে ক্যাপ্টেন মতিউর এর বাহিনীর যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে পাক বাহিনীর অনেক ক্ষতি হয়। যুদ্ধে পাক বাহিনী আর্টিলারি ব্যাবহার করে ফলে নরসিংদীতে অবস্থান নেয়া ক্যাপ্টেন মতিউর এর কোম্পানি পিছনে সরে এসে ভৈরব এর আগে রামপুর ব্রিজের কাছে অবস্থান নেয়। তেলিয়াপাড়ায় কর্নেল ওসমানী, লেঃ কর্নেল রব এমএনএ, শফিউল্লাহ, খালেদ মোশাররফ বৈঠক করেন।
নোটঃ তেলিয়াপাড়ায় বৈঠকে একটিভ সিনিয়র কর্মকর্তা ছিলেন লেঃ কঃ সালাহ উদ্দিন রেজা। হিসেবেই বলে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সেনাপতি হওয়ার কথা। তাকে কৌশলে মুজিবনগরে আত্তীকরণ করানো হয়। তার সহযোদ্ধারা ইতিহাসের বিবরণীতে তার বৈঠকে উপস্থিতির কথাও গোপন করেছেন।