বিপ্লবী বাংলাদেশ
২১ আগস্ট ১৯৭১
রণাঙ্গন সংবাদ
ঢাকা, ১৫ই আগষ্ট, মুক্তি বাহিনীর গেরিলাদের বোমা বর্ষণের ফলে গত মঙ্গলবার ঢাকা শহরের ইন্টার কন্টিনেন্টাল হোটেলের প্রচুর ক্ষতি হয়। হোটেলের উনিশজন পাকিস্তানী ও একজন মার্কিন নাগরিক আহত হয়। জানা গেছে, বিস্ফোরণের ফলে হোটেলের অংশ বিশেষ উড়ে যায়।
১৭ই আগষ্ট, গত মঙ্গলবার মুক্তি যোদ্ধারা ঢাকার প্রধান বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপর হামলা চালিয়ে সাফল্য অর্জন করে। এ আক্রমণে শহরের প্রধান জেনারেটর অকেজো হয়ে পড়ে। অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সূত্র দিয়ে শহরের আংশিক আলো জ্বালাতে সক্ষম হয়। বাকী অংশ নিষ্প্রদীপ থাকে।
রংপুর, গত কয়েকদিনে মুক্তি বাহিনীর প্রচন্ড মার খেয়ে পাক সামরিক বাহিনী এই জেলার ব্রহ্মপুত্র নদীর পশ্চিম উপকূলের প্রায় ৩০ মাইল দূরে সরে যেতে বাধ্য হয়েছে; এই সব মুক্তাঞ্চল এখন মুক্তি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। এ ছাড়া গত ১৬ই আগষ্ট তারাপুর ঘাটে মুক্তি বাহিনীর আক্রমণে ৩৫ জন পাক সৈন্য নিহত হয়েছে। রাজশাহী, কালীগঞ্জের একটি রাজাকার শিবির আক্রমণ করে তিনজনকে খতম করা হয়েছে।
সিলেট, গত ১৫ই আগষ্ট রবিবার মুক্তি বাহিনী রাজাঘাটের চা বাগানের কারখানা এবং বিস্তীর্ণ চা বাগান পুড়িয়ে দিয়েছেন। এই নিয়ে ১৭টি চা বাগান ধ্বংস হল।
ময়মনসিংহ, এই অঞ্চলের কমলপুর, বকসীগঞ্জ, এবং নাকশীতে মুক্তি বাহিনীর শাখা একই সাথে হানা দিয়ে ৫০ জন পাক সৈন্যকে খতম করেছেন। এ ছাড়া জলপথে আক্রমণ করে কয়েকটি স্পীড বোটের দারুণ ক্ষতি করে।
কুষ্টিয়া, ১৪ই আগষ্ট, কুষ্টিয়া জেলার পোড়াদহ থেকে ৬ মাইল দূরে হালসা রেল ইয়ার্ড ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছেন। এতে চুয়াডাঙ্গা পোড়াদহ পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
সূত্র: বিপ্লবী বাংলাদেশ ফাইল