৩১ মার্চ ১৯৭১ঃ বাহিনী পুনর্গঠন ও প্রতিরোধ যুদ্ধ- যশোর
লেঃ হাফিজ চলে যাওয়া সত্ত্বেও কিছু বাঙালী অফিসার ও সৈন্য ব্যাটেলিয়ন সদরে রয়ে গিয়েছিল। এদিন রাতে ব্রিগেড কমান্ডার দূররানী ব্যাটেলিয়ন সদরে এসে লেঃ কঃ জলিলকে অস্র সমর্পণ করতে বলার সাথে সাথে তিনি অস্র সমর্পণ করেন। ফলে অবশিষ্ট সৈন্যদের মধ্যেও প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। যশোর মাগুরা রোডের হালিম পুরে বিদ্রোহী বাঙ্গালীদের জন্য প্রশিক্ষন কেন্দ্র খোলা হয়। এই সেন্টারে প্রথম ব্যাচ এ জেলের কয়েদীরা অংশ নেয়। ইপিআর বাহিনীর সদস্যরা এই প্রশিক্ষন কার্যক্রম চালায়। নড়াইলে সেখানকার এসডিও বিশাল একটি বাহিনী গড়ে তুলেন। নড়াইলের লোহাগড়ায় নৌ বাহিনীর প্রাক্তন কর্মকর্তা শামশুল আলম একটি বাহিনী গড়ে তুলেন। তার ২০০ এর উপর রাইফেল বন্দুক ছিল। নড়াইল থেকে ২০০০ যোদ্ধা যশোরের দিকে রওয়ানা হয়। এদের মদ্ধে ১১ জন প্রশিক্ষিত নারী ছিল। মাগুরায় এসডিও ওয়ালিউর রহমান একটি বাহিনী গড়ে তুলেছিলেন। নড়াইলে অবস্থান নেয়া ক্যাপ্টেন হালিমের দল শঙ্করপুরে ডিফেন্স নেন। এখানে ইপি আর এর সুবেদার মালেক সাহসিকতা পূর্ণ লড়াই করে যাচ্ছিলেন। ক্যাপ্টেন হালিমের বন্ধু ক্যাপ্টেন হাসমত এবং ক্যাপ্টেন আওলাদ যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে পলায়ন করেন তারা আর কোন দিন স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেননি।