৩১ মার্চ ১৯৭১ঃ বাহিনী পুনর্গঠন ও প্রতিরোধ যুদ্ধ- রংপুর দিনাজপুর
সৈয়দপুরে মাঝরাতে ২৬ এফএফ ও ২৩ ফিল্ড রেজিমেন্ট এর পাকিস্তানী সৈন্যরা ৩ বেঙ্গলের ব্যারাক আক্রমন করে। পাক বাহিনী মাইকে প্রচার করে আত্মসমর্পণ করলে তাদের কিছু করা হবে না বলে আশ্বাস দেয়। ৩ বেঙ্গলের ক্যাপ্টেন আনোয়ার এবং ক্যাপ্টেন আশরাফ ব্যারাক ছেড়ে ফুলবাড়ী অবস্থান নেন। পরে ২৬ এফএফ ও ২৩ ফিল্ড রেজিমেন্ট এর পাকিস্তানী সৈন্যরা ঘোড়াঘাটে আসেন। ২৬ এফএফ ও ২৩ ফিল্ড এর একটি বিশাল কনভয় ঘোড়াঘাট আক্রমন করে। সেখানে পরে পাক বাহিনীর সিও হাকিম আরশাদ কোরেশী (বই লিখেছেন) আত্মসমর্পণ ভান করে বেঙ্গলের সাথে মিলে যান। তাদের তিনি বুঝান তারা ইপিআর মনে করে হামলা করেছিল। তিনি মেজর নিজামের সাথে কথা বলেন এবং লেঃ রফিককে জোর পূর্বক গাড়ীতে তুলে ফায়ার করতে করতে চলে যান। গুলিতে ৩ বেঙ্গলের ৩ জন খেলোয়াড় সৈন্য মারা যায়। দিনাজপুরে ইপিআর বাহিনী কুটিবাড়ীতে উইং অফিসে একত্রিত হয়। হাবিলদার সোবহানের ইপিআর বাহিনী পাকিস্তানী ইপিআরদের সার্কিট হাউজ থেকে বিতারিত করেন। সেখানে সার্কিট হাউজের ছাদ থেকে কিছু অস্র এবং সার্কিট হাউজ থেকে রেশন উদ্ধার করে। হাবিলদার নাজিমুদ্দিন ৬ পাউনডার ছুড়ে পাক অবস্থানের উপর। পরে পাক ইপিআর বাহিনী দিনাজপুর ছেড়ে পার্বতীপুর অবস্থান নেয়। পার্বতীপুর থেকে আসা বুলু মিয়ার বাহিনীর সাথে সুবেদার মেজর ওসমান গনীর বাহিনী মিলিত হয়। ২০০ জনের একটি মিশ্র বাহিনী জেলখানা মুক্ত করে স্থানীয় ৩ নেতা গুরুদাস তালুকদার, বরদা ভূষণ চক্রবর্তী, সাগুন লাল লহিয়া সহ অসংখ্য বন্দী মুক্ত করে। সমগ্র দিনাজপুর মুক্ত করার পর সকল সরকারী কর্মকর্তাদের শহরে আসার আমন্ত্রন জানানো হয়।