৩১ মার্চ ১৯৭১ঃ কলকাতার পথে তাজউদ্দীন
সকালে শরদিন্দু চট্টোপাধ্যায় ও নিরাপত্তা অফিসার সৌমেন চট্টোপাধ্যায় এলেন। গোলক মজুমদারসহ আমরা আবার টঙ্গীর সীমান্তে ফিরে গেলাম। গোলক মজুমদার আমাকে একটি এলএমজি উপহার দিলেন। আমি সেই এলএমজিটি মেজর আবু ওসমানের হাতে তুলে দিয়ে বললাম, ‘আপনি সামলাবেন এটা।’ এবং তখনই সুবেদার মজিবর রহমানকে এলএমজি করায়ত্ত করবার জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হলো। এই সময় গোলক মজুমদার আমাকে উদ্দেশ্য করে ইংরেজিতে বললেন, ‘You will win’. এরপর সাতক্ষীরা থেকে আগরতলা পর্যন্ত সীমান্ত এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে গ্রহণ করবার জন্য খবর পৌঁছে দিতে অনুরোধ করলাম এবং ব্যক্তিগতভাবে হিঙ্গলগঞ্জ, টাকী, হাসনাবাদ প্রভৃতি সীমান্ত এলাকা সফর করলাম আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের খোঁজে।