৩০ মার্চ ১৯৭১ঃ বাহিনী পুনর্গঠন ও প্রতিরোধ যুদ্ধ — ২ ইবি
সকালে পাক বিমান বাহিনী জয়দেবপুরে ২ বেঙ্গল অবস্থানের উপর বোমাবর্ষণ করে। মেজর শফিউল্লাহ পুলিশ, ইপিআর, বেঙ্গল রেজিমেন্ট সৈন্য, আনসার, মুজাহিদ, ছাত্র, যুবক সমন্বয়ে ৩০০০ এর এক বাহিনী গড়ে তুলেন। ছুটিতে থাকা ক্যাপ্টেন মতিউর রহমান এবং অবসরে থাকা কাজী নুরুজ্জামান এখানে যোগ দেন। আগে থেকে এখানে ছিলেন মেজর নুরুল ইসলাম, মেজর মইনুল, মেজর নাসিম, ক্যাপ্টেন আজিজুর রহমান, লেঃ হেলাল মোরশেদ, ক্যাপ্টেন এজাজ, লেঃ ইব্রাহিম। এদিন শফিউল্লাহ তার বাহিনীর সদর কিশোরগঞ্জে সরিয়ে আনেন। ট্রেনে করে শফিউল্লার দল নরসিংদী গমন করেন। কিশোরগঞ্জে ছুটিতে থাকা ক্যাপ্টেন মতিন দলে যোগ দেয়। কিশোরগঞ্জ পৌছার পর এই বাহিনীতে অস্রের সংখ্যা ছিল নিম্নরুপ রাইফেল ১৪৭০টি, এলএমজি ২৮টি, স্টেনগান অসংখ্য, ৩০৩ রাইফেলের গুলি ১৩৫০০০ টি, ৯ এমএম গুলি ৩৬০০০ টি।