পেরুর স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গবন্ধুর বাণী
রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পেরু প্রজাতন্ত্রের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এক শুভেচ্ছা বাণীতে পেরুর প্রেসিডেন্ট জেনারেল জুয়ান ভালাসক আলভারাডােকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন। বাসসর খবরে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে পেরুর প্রেসিডেন্টের সুখ ও স্বাস্থ্য এবং তাঁর দেশের জনগণের অগ্রগতি কামনা করেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রতি বছর লাখ লাখ টাকার আম নষ্ট হয় যথাযথ সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা করা হলে এই মহকুমায় আম সারা দেশের চাহিদা মিটিয়েও কয়েক কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যায়। কিন্তু বাজারজাতকরণে পরিবহণ ও অন্যান্য অব্যবস্থার দরুণ এই সম্পদ জাতীয় অর্থনীতির অগ্রগতিতে যথাযথ মর্যাদা পাচ্ছে না।
আম বাজারজাতকরণ করার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়ােজন হচ্ছে হিমাগারের। কারণ গাছ থেকে পড়ার এক সপ্তাহের মধ্যে আম পেকে যায়। হিমাগার দ্বারাই এই সমস্যার সমাধান করা যায়। কিন্তু এই অঞ্চলে একটি হিমাগারও নেই। এর ফলে এ এলাকার অনেক আম নষ্ট হয়ে যায়। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আমের মূল্য দিতে হয় অনেক বেশি।
আম বাজারজাত করার পথে যােগাযােগ ও পরিবহনের অব্যবস্থা হচ্ছে আর একটা বিরাট প্রতিবন্ধকতা। শুধু এই কারণে প্রতি বছর লাখ লাখ টাকার আম নষ্ট হয়ে যায়। বর্তমানে সড়ক পথে আম পরিবহনের যে সামান্য সুযােগ রয়েছে তা প্রয়ােজনের তুলনায় একেবারে নগণ্য।
প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০টি ট্রাক আম নিতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম যাতায়াত করে। কিন্তু তাতে কিছুই হয় না। প্রতিদিন অন্যান্য একশত ট্রাক এ ব্যাপারে নিয়ােগ করা গেলে সমস্যার কিছুটা সমাধান হত। মনে রাখা প্রয়ােজন রাস্তায় ফেরি সমস্যারও সমাধান করা জরুরি। যেখানে যাতায়াতের সমস্যা দূর করার জন্য প্রতি ঘণ্টায় ৪টি ফেরি চলাল প্রয়ােজন সেখানে চলে মাত্র দুইটি ফেরী। তাতে সমস্যার কোন সমাধান হয় না। আমবাহী ট্রাকগুলাে ঘাটে এসে পড়ে থাকতে হচ্ছে।
তারপর ফেরীঘাট হচ্ছে আর এক কথা। আমের মওসুমে আরচিা নগর বাড়িতে আমবাহী ট্রাক পারাপারের জন্যই ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ফেরী প্রস্তুত করতে লাগে। যেজন্য আমে পচন ধরে যায়।
সূত্র: দৈনিক বাংলা, ২৮ জুলাই ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত