এ বছর ৪১৯ কোটি টাকার পাট ও পাটজাত দ্রব্য রফতানী করা হবে
চলতি অর্থ বছরে বাংলাদেশ ৪১৯ কোটি টাকার পাট রফতানীর লক্ষ্য স্থির করেছে। এর মধ্যে পাটজাত দ্রব্যাদি ২৫৯ কোটি ও কাঁচাপাট ১৬০ কোটি টাকার রফতানী করা হবে। বুধবার এনার খবরে বলা হয় পাটজাত দ্রব্যাদি রফতানী করা হবে সাড়ে চার লাখ টন এবং কাঁচা পাট রফতানীর পরিমাণ হবে ২০ লাখ টন।
একথা ঘােষণা করে পাট মন্ত্রণালয় মহল জানান, জাহাজে স্থান সংকুলানের সমস্যা সহজতর এবং দেশে এবার পাটের ফলন ভাল হওয়ার রফতানী লক্ষ্য অর্জন করা খুব কঠিন হবে না। এছাড়া বাংলাদেশের বিনিময় হার পুনঃনির্ধারিত হবার ফলে এদেশ থেকে পাট ও পাটজাত দ্রব্যাদি ক্রয়ে বিদেশি ক্রেতাদের চাহিদা অত্যন্ত বেড়ে গেছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ইউরােপীয় এবং আফ্রিকার দেশসমূহ ও যুক্তরাষ্ট্রের হতে পাটের বাজার দ্রুত ফিরে পাচ্ছে। এমনকি চীন এবং জাপানও বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত দ্রব্যাদি কেনার প্রস্তাব দিয়েছে। বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যে একচেটিয়া পাটের বাজার পেয়েছে।
এ বছর আনুমানিক ৫০ লাখ বেল পাট উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়াও গতবারের ১৫ লাখ বেল পাট রয়েছে। মােট ৬৫ লাখ বেল পাটের মধ্যে ৩০ লাখ বেল স্থানীয় মিলে ও অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত হবে। ২০ লাখ বেল রফতানী করা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। আর ১৫ লাখ বেল অবশিষ্ট থাকবে।
ইতিমধ্যেই স্থানীয় বাজারগুলােতে পাট উঠতে শুরু করেছে। এবার সরকার যে শুধু চোরাচালান বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন তাই নয়, সাথে সাথে চলতি বাজারদরে পাট কেনারও ব্যবস্থা করেছেন। কোন অবস্থাতেই পাট চাষীদের যাতে প্রতি মণ পাটের দাম ৯০ টাকার নিচে না নেয়া হয় সরকার তা দেখতে বদ্ধপরিকর।
সূত্র: দৈনিক বাংলা, ২৪ জুলাই ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত