২০ ও ৬০ কাউন্টের সুতা বিক্রির ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাহার
সরকার ২০ এবং ৬০ কাউন্টের সুতা বিক্রির উপর থেকে কোটা ব্যবস্থা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বুধবার বাংলাদেশ বস্ত্রশিল্প সংস্থার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানান হয়। সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশ বস্ত্রশিল্প সংস্থা এখন হতে কোন প্রকার কোটা ব্যবস্থা ব্যতিরেকে ২০ থেকে ৬০ কাউন্ট পর্যন্ত সুতা ভােগ্যপণ্য সংস্থা কো-অপারেটিভ সােসাইটি, নিযুক্ত ডিলার এবং সুতা ব্যবহারকারী অন্যান্য সংস্থার কাছে বিক্রি করবে। উল্লেখ্য যে, গত ১৫ই মে হতে সরকার ২০/১ এর উর্ধ্ব এবং ৬০/১ এর নিম্ন কাউন্টের সুতা বিক্রির উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ প্রথা তুলে নেন।
শিল্পমন্ত্রী জনাব এ এইচ এম কামরুজ্জামান গত মাসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ঘােষণা করেছিলেন যে, ভবিষ্যতে ২০ এবং ৬০ কাউন্টের সুতার উপর থেকেও নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাহার করা হবে। এছাড়া, ১লা জুলাই থেকে সর্বপ্রকার সুতা এমনকি টিসিবি আমদানীকৃত সুতাও বস্ত্র শিল্প সংস্থা বিক্রি করবে।
জানা গেছে যে, বস্ত্রশিল্প সংস্থা টিসিবি আমদানীকৃত সুতা নেওয়ার ব্যাপারে এখনাে টিসিবির যােগাযােগ করেনি। ফলে টিসিবি আমদানীকৃত সুতা নিজেরাই বিক্রি করে যাবে। তবে বস্ত্রশিল্প সংস্থা ইচ্ছা করলে নগদমূল্যে টিসিবির কাছ থেকে সুতা ক্রয় করে নিতে পারবে। এদিকে টিসিবি ও তার ডিলারদের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার সুতা বিক্রি সংক্রান্ত গ্রুপ প্রথা শিথিল করার কথা বিবেচনা করছে বলে জানা গেছে।
সূত্র: দৈনিক বাংলা, ৩ জুলাই ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত