সুয়েজের তীরে বাংলাদেশের জন্য বিশেষ বাণিজ্যিক সুবিধা
মধ্যপ্রাচোর এক উচ্চ পর্যায় সূত্রে প্রাম্ভ খবরে প্রকাশ, মিসর পাের্ট সৈয়দের সন্নিকটে ‘অবাধ বাণিজ্য এলাকায় বাংলাদেশকে বিরাট একখণ্ড জমি প্রদানের প্রস্তাব দিয়াছে। সুয়েজখাল বরাবর এই জায়গাটি পাের্ট সৈয়দের অত্যন্ত নিকটে এবং মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও পশ্চিম গােলার্ধে চালানের জন্য কাঁচামাল ও শিল্পজাত পণ্য-সামগ্রী বিনাশুল্কে গুদামজাত করার জন্য বাংলাদেশ জায়গাটি ব্যবহার করিতে পারিবে।
বাংলাদেশ এই জমির উপর নির্মিত গুদামে পাট, পাটজাদ্রব্য, চা, চামড়া, ফলমূল এবং নূতন নূতন পণ্যসামগ্রী গুদামজাত করিয়া রাখিতে পারিবে এবং সময়মত ইউরােপ, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর ও দক্ষিণ আমেকিায় চালান দিতে পারিবে।
এই নূতন ব্যবস্থা সম্পন্ন হইলে বাংলাদেশের পণ্যের জাহাজভাড়া উল্লেখযােগ্য পরিমাণে হ্রাস পাইবে। ফলে বাংলাদেশের পণ্যের মূল্য হ্রাস এবং বিক্রয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পাইবে। এই ব্যবস্থার ফলে নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশ উহার পণ্যসামগ্রী বিশ্বের বিভিন্নস্থানে প্রেরণ করিতে সক্ষম হইবে।
‘অবাধ বাণিজ্য এলাকার, গুদামে রক্ষিত বাংলাদেশের পণ্যসামগ্রীর জন্য কোনপ্রকার স্বাভাবিক আমদানী বা রফতানী শুল্কও দিতে হইবে না।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, ২২ জুন ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত