ধান উৎপাদনে আগ্রহ ও কৃত্রিম আঁশের জন্য
ফান্ড এর পাট কেনাফ ও সংশ্লিষ্ট আঁশ সংক্রান্ত আন্তঃসরকারী গােষ্ঠী একটি নির্দেশক মলান্তরে পৌছিতে ব্যর্থ হইয়াছে। কৃত্রিম আঁশের সঙ্গে প্রতিযােগিতা আর উৎপাদনকারী দেশে ধান উৎপাদনে আগ্রহই এই ব্যর্থতার জন্য দায়ী।
গােষ্ঠীভুক্ত ২৩টি দেশের প্রতিনিধি এবং আন্তঃসরকারী ও বেসরকারী সংস্থা, আন্তর্জাতিক ব্যাঙ্ক, উৎপাদক ও বণিক সমিতি গতমাসে রােমে ফাও সদর দফতরে মিলিত হন। তাহারা উদ্বেগের সঙ্গে উল্লেখ করেন যে, ১৯৭৪-৭৫ পাটের জন্য বিশেষভাবে সংকটের বৎসর। উন্নত দেশে পাট ও পাটজাত দ্রব্যের চাহিদা হ্রাস পাইয়াছে, তৈলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও সিনথেটিকের সঙ্গে প্রতিযােগিতা আরও ব্যাপক ও গভীর হইয়াছে। এদিকে আবার যেসব দেশে পাট উৎপন্ন হয় সেসব দেশ ধান-চাউল উৎপাদনের দিকে ঝুঁকিয়া পড়ায় পাট উৎপাদন শতকরা প্রায় ২০ ভাগ হ্রাস পাইয়া ২ শত ১২ লক্ষ ৩০ হাজার বেলে অবনমিত হইয়াছে।
ঐকমত্যের ব্যাপারে ব্যর্থতা সত্ত্বেও গােষ্ঠী আশা প্রকাশ করিয়াছেন যে, ‘৭৬-এর ১৯ হইতে ২১শে জানুয়ারী রােমে অনুষ্ঠিতব্য অধিবেশনের সময় পরিস্থিতি নির্দেশক মূল্যস্তর সম্পর্কে মতৈক্যে পৌছানাের অনুকূল হইবে।
উৎপাদক দেশসমুহ ঘােষণা করিয়াছে যে, চলতি বর্ষ শেষ হওয়ার পূর্বেই নয়াদিল্লীতে সদর দফতর ও ঢাকায় কারিগরি কেন্দ্রসহ পাট উন্নয়ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কাজ সম্পন্ন হইবে।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, ১৭ জুন ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত